ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ফেন্সিডিল ও গাঁজা আটকের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আসামীদের বিভিন্ন পাঁয়তারা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ৮জুন ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন থানাপাড়া এলাকার জনৈক এমদাদুল হক পাবেলের গুদাম ঘর থেকে ১৬০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। পরে পুলিশ মাদক চোরাচালান ও ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এমদাদুল হক পাবেল ও শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর গত ১১ জুন পাবেলের আত্বীয় স্বজন কুড়িগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে ভূরুঙ্গামারীতে বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক কারবার চালিয়ে বাসার মালিককে ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রায় ৬ মাস পূর্বে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বড়খাটামারী গ্রামের মৃত কাশেম আলীর পুত্র মদিনা কসমেটিকসের মালিক শফিকুল ইসলাম ভূরুঙ্গামারী সদরের পুরাতন থানাপারা এলাকার পাবেলের বাসা ভাড়া নিয়ে গুদাম হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ভাড়াটিয়া শফিকুল ইসলাম জয়মনিরহাটের বড়খাটামারী গ্রামের মৃত শের আলীর পুত্র সিদ্দিক আলী, শিংঝাড় গ্রামের ইয়ামিন আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম কে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে গাঁজা ও ফেন্সিডিল এনে অভিনব কায়দায় রাইচ কুকারের প্যাকেটে,ডিমের খাচায় যাত্রাপুরে শফিকুলের গ্রামের বাড়িতে রেখে নদী পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করতো। সংবাদ সম্মেলনে এমদাদুল হক পাবেলকে নির্দোষ দাবী করে মামলা প্রত্যাহরের দাবী করা হয়।
এদিকে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ১১ জুন পুলিশ মাদক পাচারের সন্দেহে ২নং আসামী শফিকুল ইসলামকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল ইসলাম পুলিশের কাছে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনার পর গত ১২ জুন শফিকুল ইসলামকে নির্দোষ এবং ওসি ও ওসি(তদন্ত) এর অপসারণের দাবী করে আত্মীয় স্বজনের ব্যানারে কয়েকজন হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্রকে তুলে এনে জয়মনিরহাটে মানব বন্ধন করে। মানব বন্ধনে দাবী করা হয় মাদক চোরাচালানের মূল হোতা এমদাদুল হককে আড়াল করতে শফিকুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে। তারা পাবেলের স্ত্রীকেও আসামী করার দাবী জানায়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,পাবেল ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চক্র যৌথভাবে মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করতো। কোন কারণে বনাবনি না হওয়ায় মাদকের এ চালান ধরিয়ে দেয়া হয়। আর এই চক্রটিকে বাঁচাতে এবং মামলাটিকে ভিন্নখাতে নিতে এদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র।
এ ব্যাপারে ওসি রুহুল আমিন জানান, মাদক আটকের পর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমদাদুল হক পাবেলকে আটকের জোর চেষ্টা চলছে। তাকে আটক করতে পারলেই পুরো গ্যাংটির মুখোশ উন্মোচন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *