স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভূরুঙ্গামারীতে বিজিবি ডিজেল ভর্তি একটি ট্যাংকলড়ি আটকের ৩ দিন পর দু’জনকে আসামী করে রবিবার একটি চোরাচালান মামলা দায়ের করেছে।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিজেল ভর্তি ট্যাংকলড়ি নং রংপুর ঢ-৪১-০০২৯ উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলার হাট বাজারের ডিজেল বিক্রেতা জাহাঙ্গীর স্টোরে যাবার পথে পাগলাহাট রোডে বিপরীত দিক থেকে আসা বিজিবি কুড়িগ্রামের সেকেন্ড- ইন -কমান্ড মেজর আব্দুল হামিদের বহনকারী জীপকে সাইড না দেয়া এবং সন্দেহ জনক আচরণ করায় লড়িটিকে আটক করা হয়। এসময় সীমান্ত এলাকায় ডিজেল আনার অনুমতিপত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সীজ করে পরীক্ষা করার জন্য কুড়িগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তেল মালিক ২ দিন কুড়িগ্রামে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। জাহাঙ্গীর স্টোরের মালিক আব্দুল হাই জানান, তিনি লাইসেন্স প্রাপ্ত একজন ডিজেল (জ্বালানী তেল) বিক্রেতা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি ৪৫০০ লিটার ডিজেল তার দোকানে নিতে ছিলেন। বিজিবির জীপকে সাইড দিতে বিলম্ব হওযায় লড়ি আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে সোমবার সকালে ধলডাঙ্গা বিজিবির পক্ষ থেকে ডিজেল বিক্রেতা আব্দুল হাই এবং ড্রাইভার রবিউল ইসলাম কে আসামী করে ডিজেল পাচারের মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ১৩, তারিখ ১৫/৭/১৮। এ ব্যাপারে ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল চৌধুরী সাইফ উদ্দিন কাউছার জানান, অনুমতি পত্রে ১৫/৫/১৮ থেকে ৩০/৫/১৮ তারিখের মধ্যে ডিজেল আনার মেয়াদ ছিলো। কিন্তু ঘষে ৩০/৫/১৮ এর স্থলে ৩০/৭/১৮ বানিয়ে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বর্ষাকালে এতো ডিজেলের চাহিদা সন্দেহ জনক। বিজিবি সিজার লিস্টে ৪১০০ লিটার ডিজেল সহ ৩৩ লাখ ২ হাজার ২ শত টাকার মালামাল দেখিয়েছে।