স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় দেওয়ানের খামার গ্রামে দরসুল কুরআন ইসলামিক একাডেমী নামে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক ও সরকারি শিক্ষিকাকে মৌখিক বহিষ্কার করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা প্রিন্সিপাল।শিক্ষক মাহাবুবের আয়ত্তীয় সূত্রে জানা যায় চর ভঙ্গামারী ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজারের উত্তর পাশে গোলাম হোসেনের মেয়ে মাকজুমা বেগম ওই প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এদিকে ভুরুঙ্গামারী তিলাই ইউনিয়নের ভোটঘাটি গ্রামের আজিজের পুত্র মাহবুব হোসেন ওই একই প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। মাকজুমা বেগমের বিয়ে হয় উপজেলার পাইকেছ ছড়া ইউনিয়নের বেল্দহ গ্রামে। দরসুল কুরআন ইসলামিক একাডেমী মাদ্রাসায় মাহবুব ও মাকজুমা চাকরি করার সুবাদে তাদের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তাদের দুজনের ভিতরে বন্ধুত্ব হয়। আসতে আসতে দিন যতই যায় বন্ধুত্ব ততই গভীরে পরিণত হয়। পরিশেষে বন্ধুত্ব থেকে ভালোলাগা ও ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। ট্রেনিং এর কথা বলে দুজনে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা করে ও রাত কাটায়।

৩ জানুয়ারি রাত নয়টার দিকে উপজেলার পাশে একটি ক্লাবে ছেলেপক্ষ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে ছেলেপক্ষ। পরিশেষে একপর্যায়ে ছেলে পক্ষ উচ্ছৃঙ্খল হলে ছেলেকে নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে দরসুল কুরআন ইসলামিক একাডেমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা জালাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো আমি শুনেছি এবং রাতে উপজেলার ওখানে অনেকেই এটা নিয়ে বসছিলো সমাধানের জন্য।আমাকেও ডেকে ছিল ওখানে সেখানেও গিয়ে ছিলাম। আমাকে সেখানে বলছে তাদেরকে যেন মাদ্রাসায় রাখি মাদ্রাসা থেকে যেন বের না করে দেই। কিন্তু আমি এরকম চরিত্রহীন কাউকেই রাখবো না। দুজনকেই বহিষ্কার করেছি মৌখিকভাবে ‌‌। ওই দুজনের সাথে আমার প্রতিষ্ঠানের রাত থেকেই কোন সম্পর্ক নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *