স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়ায় একটি সেতু মেরামতের অভাবে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটির একটি অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে দীর্ঘদিনেও তা মেরামত না করায় এলাকাবাসীর স্বেচ্ছায় নির্মিত বাঁশের সাকো দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও কোমল মতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপাড় হতে হচ্ছে। জানা গেছে উপজেলার বলদিয়া বাজার সংলগ্ন সোনাহাট ছড়া থেকে প্রবাহিত হয়ে দুধকুমর নদে মিলিত মরা শংকোষ নদীতে ১৯৯১ সালে ত্রান ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থে একটি ৬০ ফুট সেতু নির্মান করা হয়। সেতুটি চালু হওয়ার পর বলদিয়া বাজার এলাকা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ স্বল্প সময়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতো। ১৯৯৩ সালের আকস্মিক বন্যায় সেতুটির পশ্চিম পাশের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকেই যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবছর স্থানীয়রা স্বেচ্ছা শ্রম ও অর্থ দিয়ে সেতুটির ভাঙ্গা অংশে বাঁশের চড়াট দিয়ে যাতায়াত করে আসলেও গতবছরের বন্যায় সেতুটির ভাঙ্গা অংশে গভীর খালের সৃষ্টি হওয়ায় সেতুটির ভাঙ্গা অংশে বাঁশের চড়াট দিয়ে পারাপাড় অসম্ভব হয়ে পড়লে এলাকাবাসী সেতুটির সামান্য উত্তরে একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করে পারাপাড় হচ্ছে। বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপাড়ের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন সরকার সহ এলাকাবাসীর বাবলু মন্ডল,ব্যবসায়ী চান মিঞা,শিক্ষক আতাউর রহমান মাষ্টার জানান,সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে পশ্চিম পাড় থেকে প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বাজারে আসলেও তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য পরিবহনের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা সেতুটির পশ্চিম পাড় থেকে পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থার না থাকায় ,বিভিন্ন মৌসুমী তরিতরকারী,ধান,গম,বাশ কিনতে যায় না। এতে এলাকাবাসী যাতায়াতে দুর্ভোগ সহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনতি বিলম্বে সেতুটি মেরামত করলে এলাকার ব্যাপক উন্নতি সহ প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে অনতি বিলম্বে সেতুটির ভাঙ্গা অংশ দ্রুত নির্মাণের দাবী জানান। বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মোখলেছুর রহমান জানান, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ইউনিয়নের বলদিয়া,সতিপুরী এবং আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের হেলডাঙ্গা,ধাউরারকুটি এবং বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের গনাইরকুটি,চর বলদিয়া গ্রামের মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি ইতিপুর্র্বে এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতুটির ভেঙ্গে যাওয়া অংশে কাঠের সেতু নির্মান করে দিয়েছিলাম কিন্তু বন্যায় গভীর খালের সৃষ্টি হয়ে কাঠের সেতুটিও বন্যায় ভেসে গেছে। সেখানে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য বরাদ্দ দিয়ে সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। তিনি সেতুটি মেরামত করে জনগনের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার জন্য মাননীয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু মেরামত ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সেতুগুলো মেরামতের কাজ শুরু করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন