ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
দেশের সীমান্তবর্তী উপজেলা ভোলাহাট। পূর্বে শুনা যেত এ উপজেলা চাকরিজীবিদের জন্য পানিসম্যান্ট বা শাস্তিমূলক এলাকা। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী আসতে চাইতো না এ উপজেলায়। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিলো না, নৌকাতে যাতায়াত করতে হতো। কিন্তু সে সময়ের অবস্থার নানা পরিবর্তন আসার পরও ভোলাহাট উপজেলায় কর্মকর্তারা এখনও আসতে চাই না। আসলেও যত দ্রুত সম্ভব উপরমহলের আশীর্বাদ নিয়ে নিজেদের পছন্দ মত স্থানে বদলি নিয়ে চলে যান। ভোলাহাট অফিসপাড়া গুলোতে অফিসার না থাকায় অফিসিয়্যাল কাজকর্ম নিয়ে ভুগতে হচ্ছে সকল পেশাজীবি মানুষকে। এক একটি অফিসের এক এক রকম কাজ। এতে দেখা যায় প্রত্যেক মানুষের সাথে অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। ভোলাহাটের অফিসপাড়ায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী ভূমি কমিশনার(এ পদটি রয়েছে দীর্ঘ প্রায় ২যুগ ধরে শূন্য), একই অফিসের কানুনগোও রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। আর ছোট পদগুলো গণনার বাইরেই রয়ে গেলো। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচন, প্রকল্প বাস্তবায়ন, সমাজসেবা, যুব উন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক, পরিসংখ্যান রয়েছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত ভারপ্রাপ্ত হয়ে। অতিরিক্ত দায়িত্বের কর্মকর্তাগণ তার মূল অফিসের দায়িত্ব পালনের পর মর্জির উপর ভোলাহাটের অফিসের কাজ চালান অথবা কাগজপত্র স্বাক্ষরের জরুরী প্রয়োজন হলে ছুটে যেতে হয় মূল দায়িত্বের উপজেলায় ছোট কর্মচারীদের ফাইল হাতে স্বাক্ষরের জন্য। উপজেলা প্রশাসন এখন রোগাক্রান্ত। ভোলাহাট উপজেলার সেই মান্দাত্তার কষ্ট বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এসেও রয়ে গেছে অগোছালো। এর সমাধান কখনও হবে কি না উপর ওয়ালা ছাড়া কেউ বলতে পারবে না এমনটি বলছেন ভুক্তভোগিরা। এদিকে উপজেলার একটি মাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানেও নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। কেউ চিকিৎসা সেবা পাক বা না পাক, চিকিৎসক থাক বা না থাক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা চেষ্টা করছেন কি? চেষ্টা করেন আর নাই করেন গরিবের জন্য উপর ওয়ালা আছে এ শান্ত্বনা বুকে বেঁধে জ্বি-ভুতের ও গাছ-গাছড়ার কবিরাজের কাছে দোয়া-তাবিজ গলায় বেঁধে অবশেষে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে হয়।