রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আফতাবউদ্দিন সঠিকতা বুঝতে পেরে বুধবার মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লাগামহীনভাবে নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তার সকল অপরাধমূলক কাজের যথেষ্ট প্রমান মিললেও অজ্ঞাত কারনে তার বিরুদ্ধে কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যার ফলে তার চক্রান্ত থেমে থাকছেনা। তার সকল অপকর্মের বিরোধীতা করায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার নামে তালিকা প্রকাশ করা, মুক্তিযোদ্ধা সনদ এনে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, জাল সনদ এনে দেওয়ায় কয়েকজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মামলা, বিরঙ্গণাদের ভাতার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নিষ্ফল প্রচেষ্টা, অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের সংগঠিত সংগঠন রাহবার সভাপতি থাকা কালিন সময়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের কারণে তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের নিয়ম বহির্ভূত কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতার বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া অভিযুক্ত করে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা প্রকাশ করে। যাদের লাল মুক্তিবার্তা, বাংলাদেশ গেজেট ও সামরিক গেজেট নম্বর রয়েছে। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী, মোঃ পসির উদ্দিন, মোঃ সোলেমান আলী, মোঃ মহসীন আলী, মোঃ বদরুল ইসলাম, এ.এ. নজরুল ইসলাম, মোঃ মজিবর রহমান’র নাম প্রত্যাহার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মুক্তিযুদ্ধাদের প্রশিক্ষক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান মুক্তিবার্তা নম্বর ০৩১০০৪০১৪৬, একেএম হায়দারুজ্জামান গেজেট ১৬০৯, হবিবর রহমান মুক্তিবার্তা নম্বর ০৩১০০৪০১৪৯, শহীদ সালেহ মোহাম্মদ আনসার মুক্তিবার্তা নম্বর ০৩১০০৪০১০৩ এমন ২০ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশ করে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠায় সিরাজ কমান্ডার। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এমন হীনো কাজ করে।
তার প্রকাশিত তালিকায় স্বাক্ষরিত ধর্মগড় ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার/আহবায়ক আফতাবউদ্দিন জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল সাহেব আমাকে ভুল বুঝিয়ে প্যাডে তারিখ বিহীন একটি নামের তালিকা যুক্ত কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে তালিকার ফটোকপি সংগ্রহ পূর্বক জানতে পারি উক্ত কাগজে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা ছিল। কিন্তু তালিকাভুক্তগণ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের পক্ষে যাদের বিশাল অবদান আছে। গত ১৯ এপ্রিল’১৭ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম সম্বলিত দাখিলী দরখাস্তখানা প্রত্যাহারের জন্য এবং প্রৃতারকের সুবিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্ত দাখিল করেছি।
এছাড়াও নায়েক মোঃ আলিমউদ্দিন পিতা মৃত তাজুমদ্দিন ৩৯৩৯৬৮৩ সেনা গেজেট ১১৭৮৬ ও হাবিলদার মোঃ আসিরউদ্দিন পিতা মৃত সিরাজউদ্দিন ৩৯৪৫৯৬৯ সেনা গেজেট ১১৭৭৯ গণের মৃত্যুকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার জন্য সিরাজুল কমান্ডার মৃতের পরিবারের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবির টাকা না দেওয়ায় রাষ্ট্রীয় তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। ভুয়া সনদ এনে দেওয়ার জন্য কমান্ডারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ৪টি মামলা চলমান রয়েছে।