মোঃ আবু হাসান,, বিভাগীয় প্রতিনিধি,,খুল
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পানগুছি নদীতে ইঞ্জিনচালিত খেয়া ট্রলারডুবির ঘটনায় গতকাল শুক্রবার চতুর্থ দিনে আরও ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ তিনটি উদ্ধার করেন। বাগেরহাট জেলা পুরিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় ও খুলনা ফায়র সার্ভিসের উপ-পরিচালক এবিএম ফেরদৌস শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আজ শনিবার বেলা ১০টার পরে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হতে পারে বলে পুলিশ সুপার ও ফায়ার খুলনা সার্ভিসের ডিডি জানিয়েছেন।
নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযানে থাকা বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মাসুদ সরদার জানান, শুক্রবার উদ্ধার হওয়া তিনটি লাশেরই পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন শরণখোলা উপজেলার পুলিশ কনস্টেবল সাহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাসিমা বেগম(৩২), ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের বশির উদ্দিন হাওলাদারের স্ত্রী লাবনি আকতার (১৮) ও পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান তালুকদারের স্ত্রী নাসরিন বেগম (৩২)। উদ্ধার হওয়া লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
এছাড়া দুই শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এই ২জন হচ্ছেন, মোরেলগঞ্জের পল্লীমঙ্গল এলাকার বাচ্চু শেখের ৬ মাস বয়সী সন্তান রাহাত শেখ ও উত্তর সুতালড়ী গ্রামের মোহসীন হাওলাদারের ছেলে হাসিব(৬)।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনভর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীদের ১৪টি টিম ট্রলার নিয়ে পানগুছি ও বলেশ্বর নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪টি লাশ উদ্ধার করে। ফলে গত ৪ দিনে উদ্ধার হলো ১০ নারী, ৫ পুরুষ ও ২ শিশুর লাশ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই দুইদিনে জীবিত সন্ধান মিলেছে ৩জনের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে মোরেলগঞ্জের ছোলমবাড়ীয়া ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে উপজেলা সদরের পুরাতন থানা ঘাটে যাবার পথে পানগুছি নদীতে ইঞ্জিনচালিত ওই খেয়া ট্রলারটি ডুবে যায়।