মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুরে শবে বরাতের রাতে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ফতেপুর ইউপি আওয়ামী-লীগের সভাপতি আব্দুল কাহির চৌধুরী ওরফে বাবু মেম্বার। তাকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন তার ছেলে সহ আরও তিন জন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে মিলাদের আগে কবর জেয়ারত নিয়ে একই গ্রামের ছমির মিয়ার সাথে বাবু মেম্বারের সমর্থক রিপন মিয়ার কথা কাঠাকাঠি হয়। পরে স্থানীয়রা তা মিমাংসা করে দেন। রাত ১০ টার দিকে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ছমির মিয়ার পক্ষ নিয়ে প্রতিবেশী মুজাহিদ মিয়া, ময়নুল মিয়া, শাহিনুল, মুকিদ মিয়া, সামাদ মিয়া, কালাম মিয়া, কাজল, খালেদ, ছালেক মিয়া, রুপক মিয়া, ছালিম মিয়া, ছমির, পারভেজ ও রাজন সহ ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লোহার পাইপ,রামদা নিয়ে আকস্মিক মসজিদে ঢুকে আওয়ামীলীগ নেতা বাবু মেম্বারের উপর হামলা শুরু করে।পিতার প্রান বাঁচাতে বাবু মেম্বারের ছেলে কয়েছ চৌধুরী(২০) তার উপর ঝাপিয়ে পড়লে তাকে ও এলোপাতাড়ি মারধর করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মসজিদে আগত মুসল্লি রিপন মিয়া ও জগলু মিয়া বাবু মেম্বারকে বাঁচাবার চেষ্টা করলে তারা ও সন্ত্রাসীদের হাতে মারাতœক জখম হয়। মসজিদে আগত অন্যান্য মুসল্লিদের চিৎকারে গ্রামের মানুসজন এগিয়ে আসার আগেই পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ত্রসীদের ব্যবহৃত দেশীয় কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে হামলাকারী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, হামলাকারীরা সবাই বিএনপি সমর্থক।
আওয়ামীলীগ নেতা বাবু মেম্বারের সাথে হামলাকারীদের মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে।গত ইউপি নির্বাচনে বাবু মেম্বারের ভাই আব্দুস শহিদ চৌধুরী আমিন নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচিত হলে হামলাকারীরা ফলাফল মেনে না নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার সহ পুলিশের উপর হামলা এবং মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের এএসপি’র গাড়ী ভাংচুর করে। এ নিয়ে পুলিশ এসল্ট মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট হয়েছে। হামলাকারীদের ধারনা বাবু মেম্বার এই মামলার তদারকি করেছেন। এ নিয়ে বাবু মেম্বারের সাথে আসামীদের দীর্ঘদিনের আক্রোস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন