ইশরাত জাহান চৌধুরী, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার বিআরটি’র দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম। গত ১ আগস্ট সকালে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখার কর্মীসভায় এ দাবী জানানো হয়। বিআরটি’র অনিয়ম ও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন- মৌলভীবাজার জেলার বি,আর,টি অফিস দুর্নীতির করাল থাবায় গ্রাস করে ফেলেছে । বিআরটির অফিসে, গাড়ীর মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ ও সাধারণ মানুষ দূর্নীতির কারণে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। জাতীয় দৈনিক, অনলাইনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দুর্ণীতি- অনিয়ম এর সংবাদ পরিবেশন হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষের কোন বিহীত ব্যবস্থা নিচ্ছেনা । দালাল চক্র সব সময় তৎপর। দুর্নীতির কারণে সরকার বড় অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কারণে সাধারণ মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সভায় দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের সভাপতি সাকির আহমদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- দূর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক চিনু রঞ্জন তালুকদার, তথ্য সম্পাদক সৈয়দ মুন্তাছির রিমন, মহিলা সম্পাদিকা রুবিনা আক্তার, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের সহ সভাপতি আলিম আল মুনিম, ছাত্র ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল হাসান, সংগঠনিক সম্পাদক কবি পলাশ দেব নাথ, মহিলা সম্পাদিকা ইতি রাণী দেব, সিরাজাম মনিরা, নমিতা বৈদ্য, নাজমিন আক্তার মিলি, ফয়েজ আহমদ, মঞ্জুর আলম ও খন্দকার লিপু প্রমুখ। উল্লেখ্য- মৌলভীবাজার বিআরটিএ কার্যালয়ে চাকুরীহীন চাকুরেরাই এখানকার কর্মকর্তা-হর্তাকর্তা। এডি জয়নাল আবেদীন ও এসিস্ট্যান্ট এমভিআই (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত) হাসানই নিজেদের কেবিনে বসে সময় কাটাচ্ছেন এবং চাকুরীহীন চাকুরে বা দালালদের দেয়া কাজগুলিই করছেন। কেউ সরাসরি তাদের কাছে গেলে, তারাই পাঠিয়ে দেন উল্লিখিত চাকুরীহীন চাকুরে বা দালালদের কাছে। এর কারণ বলাই বাহুল্য। উপরি অর্থ এবং দালাল ছাড়া কোন কাজ হাসিল করা সম্ভব হয়না মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে। এডি জয়নাল আবেদীন, এসিস্ট্যান্ট এমভিআই (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত) হাসানই এসব চাকুরীহীন চাকুরে বা দালালদের নিয়োগ ও লালন করার কারণে মোটরযান মালিক ও চালক উভয় পক্ষই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নিয়মিত। গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ফিটনেসহীন যানবাহনের ফিটনেস সনদ প্রদান, অযোগ্য লোককে চালকের সনদ প্রদান ইত্যাদি সকল কাজই করা হয় এ অফিসে। উপরী টাকার বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে চাকুরীহীন চাকুরেরাই এসকল কাজ করে দেয় প্রকাশ্যে। এরা যেকোন গাড়ির ফিটনেস সনদ নিশ্চিত করতে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা নেয়। ব্যাংকে ৭শ ৫০ টাকা জমা দিয়ে বাকি টাকা ভাগাভাগি হয় সংশিষ্ট কর্মকর্তা ও দালালের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *