মোঃ আবু হাসান,, বিভাগীয় প্রতিনিধি,,খুলনা,
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের মেধাবী ছাত্রী গৃহবধূ আসপিয়া খাতুন বৃষ্টির খুনি স্বামী প্রিন্সকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে শহরের গাড়িখানা রোডে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। নিহত বৃষ্টি যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার আসলাম হোসেন মেয়ে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যশোর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ রাশেদ আব্বাস রাজ, যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান, শেকড় যশোরের সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রাসু, নিহত বৃষ্টির বাবা আসলাম হোসেন, মা রোকেয়া পারভীন প্রমুখ।
মানবন্ধনে বৃষ্টির বাবা আসলাম হোসেন মেয়ের খুনি স্বামী প্রিন্সকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। তিনি বলেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ভায়না গ্রামের সদরুল আলম প্রিন্সের সঙ্গে ২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর বৃষ্টির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী প্রিন্স, শ্বশুর তৌহিদুর রহমান, শাশুড়ি আঙ্গুরা বেগম, ননদ সাদিয়া তামান্না, সাদিয়ার স্বামী কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জামাইকে কয়েক দফায় মোট সাড়ে আট লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। এতেও সন্তুষ্ট হয়নি প্রিন্স। গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৃষ্টিকে মারপিট ও বালিশ চাপায় হত্যা করে। বৃষ্টির চার বছরের মেয়ে নুসরাত সব কিছু দেখেছে। এ ঘটনায় বৃষ্টির বাবা আসলাম হোসেন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তামান্না ও তার স্বামী বিদ্যুৎকে আটক করেছে। বৃষ্টির স্বামী প্রিন্সকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বক্তারা প্রিন্সের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।