মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ “যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে ঘর নির্মাণ’ প্রকল্পে, ঘর গ্রহীতাদের চাহিদামত টিনের ঘরের পরিবর্তে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসি আক্তার।
পিলার ও টিন দিয়ে ঘরের বেড়া নির্মাণের কথা থাকলেও ঘর গ্রহিতারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কাকুতি-মিনতি করেন টিনের বেড়ার পরিবর্তে ইটের গাথুনি দিয়ে তাদের স্বপ্নের ঘরখানা তৈরি করে দেবার। তাদের এমন দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসি আক্তার নির্মাণ শ্রমিকদের নির্দেশ দেন ঘর গ্রহিতাদের সুবিদামত ঘর তৈরি করে দিতে। আর তাতে মহাখুশি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ঘর গ্রহীতারা।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর প্রথম ধাপে রাজনগর উপজেলায় ৮৯টি ঘর বরাদ্দ আসে। দরিদ্র পরিবারের ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য সরকার প্রতিটি ঘরের বিপরীতে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদারকির দায়িত্ব দেয় সরকার।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ঘরের দেয়াল ইটের গাথুনী দিয়ে আস্তর করে দেয়া হয়েছে। যা টিনসেড দিয়ে তৈরি করলে নির্মাণ ব্যয় অর্ধেকের বেশী কমে যেত। ঘরের মেঝ কংক্রিট দিয়ে ঢালাই করা। বিভিন্ন নির্মাণ শ্রমিকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সম্পুর্ণ ইটের তৈরি এরকম একটি ঘর ১ লক্ষ টাকার মধ্যে সম্পুর্ণ করা কষ্টসাধ্য।
পিলার ও টিন দিয়ে ঘরের বেড়া নির্মাণ করলে যেখানে নির্মাণ খরছ অনেকটা কমে যেত, কিন্তু তা না করে ইটের গাখুনি দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করে দেয়া হল কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসি আক্তার বলেন, যারা ঘর পেয়েছে তারা মুলত হতদরিদ্র।তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তাদের যৌক্তিক দাবীর প্রতি আমি সহমত পোষন করে নির্মাণ শ্রমিকদের নির্দেশ দিয়েছি ঘর তৈরি করে দিতে।এবং সরকার আমলে নিয়েছে।
রাজনগর উপজেলার ঘর গ্রহিতা হাসিনা বেগম, প্রনয় কুমার দাশ, দুরুদ মিয়া, ইসকন্দর মিয়া, অমরচান দাশ, আব্দুল খান, মধু মিয়া, ইয়াকুব খান, লকুছ মিয়া, মখন মিয়া সহ বেশ কিছু সুবিদাভোগী ঘর গ্রহিতারা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে নির্মাণ শ্রমিকরা প্রথমে পিলার ও টিনসেডের বেড়া দিয়ে ঘর তৈরি করে দেবার জন্য মালামাল নিয়ে আসেন। কিন্তু আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসি আক্তার মহোদয়কে ফোনে এবং সাক্ষাতে বলি টিনের বেড়ার পরিবর্তে আমাদের ঘরের দেয়ালগুলা ইটের গাথুনী দিয়ে করে দেবার জন্য। পরে ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে ঘরের দেয়াল ইটের গাথুনী দিয়ে করে দেয় নির্মাণ শ্রমিকরা।তারা আরো জানান, আমরা দিনমজুর মানুষ, টিনের বেড়া হলে কয়েকবছর পর পর টিন বদল করতে হবে। ইটের গাথুনী করে দেয়ায় আমরা সে ঝামেলা থেকে মুক্তি পেলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন