রেজাউল করিম, রাজশাহীঃ
বাংলাদেশে ২০১০ সালের দিকে বন ছিলো মাত্র ১০শতাংশ। অথচ একটি দেশের পরিবেশ ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন ২৫ শতাংশ বনায়ন। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সে সময়ে ক্ষমতায় এসে দেশের আবহাওয়া ঠিক রাখতে বনায়নের দিকে বিশেষ নজর দেন বলে বুধবার রাজশাহী বিভাগীয় বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই সময়ে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষরোপন করেছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার সেই সপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে সারাদেশ ব্যাপি বৃক্ষরোপন কর্মসূচী গ্রহন করায় বর্তমানে একযুগের মধ্যে ছয় শতাংশ বন বিভাগ বৃদ্ধি করেছেন। এখন দেশে মোট বনবিভাগ রয়েছে ১৬ শতাংশ। তিনি বলেন, সঠিক মাপে বনায়ন না থাকলে দেশের পরিবেশ ও ভারসাম্য রক্ষা পায়না। এতে করে জীবাশ্য মহলে ব্যপক ক্ষতি হয়। কারন বৃক্ষ কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহন করে এবং অক্সিজেন ছেড়ে দিয়ে জীবাশ্যকে বাঁচিতে রাখে। আগামীতে দেশকে ভাল রাখতে এবং মানুষসহ অনান্য প্রাণীকুলকে বাঁচিয়ে রাখতে রাখতে তিনি প্রতিটি মানুষকে তিনটি করে বৃক্ষরোপন করার আহবান জানান।
রাজশাহী বন বিভাগের আয়াজনে এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আলোচনা সভার পূর্বে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর গোরহাঙ্গা গোরস্থান সংলগ্ন স্থান থেকে র‌্যালি করে সিটি কর্পোরেশন এর গ্রীন প্লাজায় এসে শেষ হয়। সেখানে প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে এবং বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে পক্ষকাল ব্যাপি বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম, সামাজিক বন অঞ্চল বগুড়ার বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, ও নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি সাহেদুজ্জামান সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা , নার্সারী মালিকগণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *