কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার হরিশ্বরতালুক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপবৃত্তির ফরম পুরণের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, হরিশ্বর তালুক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৬৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সরকারী নিয়ম মতে শতকরা ৫৫ ভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনতে হবে। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এই করোনাকালীন সময়ে অসহায় এসব শিক্ষাথীদের উপবৃত্তির ফরম পূরণে তিনি বোর্ডে যাতায়াত ও অনলাইন চার্জসহ প্রত্যক ফরম বাবদ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৫০০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন- আমাদের জানামতে উপবৃত্তি ফরমে কোনো টাকা লাগে না, কিন্তু কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই আমাদের স্কুলে ফরম বাবদ কেনো ২০০ থেকে ৫০০টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। আমরা এসব অনিয়মের প্রতিকার চাই।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে এই প্রতিবেদক অভিভাবক সেজে উপবৃত্তির ফরম বিতরণের দায়িত্বে থাকা সহকারি শিক্ষক সাহিদা বেগমের মুঠো কল করে উপবৃত্তির ফরমের জন্য কত টাকা দিতে হবে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন – ৫০০ শত টাকা দিতে হবে। কিছু টাকা কম রাখার জন্য অনুরোধ করলে তিনি প্রতিউত্তরে বলেন- তাহলে আপনি হেড স্যারের সাথে বলেন। অডিও রেকর্ডটি এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে হরিশ্বরতালুক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক উপবৃত্তির ফরম বাবদ ৫০০ টাকা করে নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন- এভাবে টাকা নেয়া অবৈধ তবে অনলাইনে ফরম পুরনের জন্য ২০০ টাকা করে প্রতিটি ছাত্র থেকে নেওয়া হচ্ছে। হিসাব বিজ্ঞানের সহকারি শিক্ষক সাহিদা বেগম কার নির্দেশে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপবৃত্তির ফরম বাবদ ৫০০ টাকা করে কার নিচ্ছে! প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম কোন সদূত্তর দিতে পারেনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, উপবৃত্তির ফরম পূরণে টাকা নেয়া বিধি সম্মত নয়। টাকা নেয়ার কোনো বিধান নেই। তবে স্কুল কমিটি চাইলে অনলাইন খরচের টাকা নিতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, উপবৃত্তির ফরম বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।