রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি
রাজীবপুর উপজেলার অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা ৫ টি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ শনিবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল হাসান এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনা কালে এডিবি ইট ভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২মাসের জেল, এমএবি ইট ভাটাকে ৫ লক্ষ টাকা অনাদায়ে ৩মাসের জেল, নম্বার ওয়ান ইট ভাটাকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২মাসের জেল, এএইচবি ইট ভাটাকে ৩ লক্ষ টাকা অনাদায়ে ২মাসের জেল ও ট্রিপল ৭ ইট ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১মাসের দণ্ডাদেশ দেয় ভ্রাম্যমান আদালত ।
সহকারী কমিশনার ও এক্সকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।অভিযান পরিচালনা কালে লাইসেন্স না থাকায়, বিল ডোবা এবং কৃষি জমি থেকে অনুমতি ব্যাধিত মাটি এনে ইট প্রস্তুত করা ও কৃষি জমিতে অবৈধভাবে ভাটা স্থাপন করে ইট পোড়ানোর কারনে ৫ টি ইটভাটাকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসব অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং জরিমানাও করা হয়েছে। তারপরও যদি ইট ভাটার নিবন্ধন না করে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এসব ভাটার মালিক আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বছরের পর বছর তারা এসব অবৈধ ইটভাটা গুলো পরিচালনা করে আসছে। মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা হলেও তারা জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছে।
এসব অবৈধ ইট ভাটার কারনে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে ফসলী জমি প্রাণ ও প্রকৃতি।আশেপাশের গ্রামে গুলোতে পরছে প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়া।
অনুমোদন হীন এসব ইট ভাটার গুলো গড়ে উঠেছে কৃষি জমির বুক চিরে। অবৈধ ভাবে পরিচালিত কয়েকটি ইট ভাটা মালিকের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছি কিন্তু তারা অনুমোদন দিচ্ছে না। দুই এবং তিন ফসলী কৃষি জমিতে কেন ইটভাটা করেছেন এমন প্রশ্ন করলে তারা বিষয়টি এরিয়ে যায়।