রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাও ) সংবাদদাতা ঃ ঠাকুরগায়ের রাণীশংকৈল লেহেম্বা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হর্ষবর্ধনের বিরুদ্ধে আর্থিক দূর্ণীতি ও দায়িত্বে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভান্ডারা গ্রামের মৃত কৃষ্টনাথের ছেলে কমলনাথ বাদী হয়ে ঠাকুরগাও জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবরে হর্ষবর্ধনের বিরুদ্ধে অর্ধ লক্ষ টাকা ঘুষ দূর্ণীতির অভিযোগ করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাণীশংকৈল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা দূর্ণীতি দমন অফিসার, প্রেস ক্লাব সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগের তথ্যমতে, উপজেলার গোগর মৌজাস্থ সিএসএ ৬৬৭ ও এসএ ৭১৭ নং খতিয়ানভুক্ত ১১৬২ দাগে ১.০১ একর এবং সিএসএ ৬৭নং ও এসএ ৭১৭ নং খতিয়ান ভুক্ত ১১৭৫ দাগে ০.৬৬ একর জমির স্বত্তাধিকারী বাঁলাচান্দ যোগী। আমার মা জামিনী যোগী তার মেয়ে হওয়ায় আমি কমলনাথ হিন্দু আইন অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তির স্বত্তাধিকারী। আমি উক্ত সম্পত্তির খাজনা খারিজের জন্য কাগজ পত্রাদি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হর্ষবর্ধনের কাছে জমা করলে কাজ করে দেয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে অন্যায়ভাবে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দূর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে গোগর গ্রামের পীর বকসের ছেলে তোফাজ্জুল হোসেন, নুর ইসলাম, গোলাম মোস্তফা ও তৈফুর রহমানের নামে খারিজ করে দেয়। যাহার নম্বর IX/৫৪৪/১৫-১৬, তারিখ ১৮/০৭/২০১৬ইং। যাদের নামে খারিজ করা হয়েছে উক্ত সম্পত্তির কোন বৈধ কাগজ পত্র তাদের নেই বলে সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) হর্ষবর্ধন সিংহ বলেন, এসি ল্যান্ড অফিসের নির্দেশ মোতাবেক আমি রিপোর্ট দিয়েছি। আমার কিছুই করার নেই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আসাদুজ্জামান খোকন বলেন, আগে খারিজ করার সময় কাগজ পত্র ভালভাবে দেখা হত না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, উক্ত খারিজের ব্যাপারে তাকে আমি কোন নির্দেশনা দিই নি। উক্ত খাজনা খারিজ বাতিলের ব্যাপারে কমলনাথের বিষয়ে তাকে বলা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন