ওয়ালিউর রহমান রাজু, লালমনিরহাট \ লালমনিরহাট রেল বিভাগের এষ্ট্রেট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুনর্ীতি ও ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । তাদের এহেন অনিয়ম, দুনর্ীতি ও উদাসীনতার কারনে শত শত একর জমি বেহাত হয়ে গেছে এবং প্রতিদিন জবর দখল হচ্ছে । বেদখলকৃত জমি লোক দেখানো সকালে উদ্ধার করলে বিকেলে পুনরায় জবর দখল করলেও রেল কতর্ৃপক্ষ থাকেন নীরব। ওই অফিসের একটি সুত্র জানায়, বিগত অর্থ বছরে এই বিভাগে প্রায় দেড় কোটি টাকা তারা লুটপাট করার কারনে অডিট আপত্তি হলেও আত্নসাৎকারীরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। এদিকে এইসব জমি কতিপয় রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও রেলওয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারী জবর দখল করে নিয়েছে এবং বসত ভিটা তৈরী করে বছরের পর বছর অবৈধভাবে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। বেদখল বা জবরদখলকৃত জমি উদ্ধারে রেল কতর্ৃপক্ষ দীর্ঘদিনেও কোন কার্যকরি ভুমিকা রাখার কোন নজীর থাকলেও তা লোক দেখানো মাত্র। রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলীর বাংলোর দক্ষিনে কয়েক একর জমি দীর্ঘ দিন থেকে (অবঃ) রেল কর্মচারী খয়বরসহ একাধিক ব্যক্তি দখল করে বসত ভিটা তৈরী করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ের লালমনিরহাট ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজুয়ানুল হক ও প্রধান ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিম যোগসাজস করে জবর দখলকারীদের সাথে আতাঁতের মাধ্যমে প্রতি বছর অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা পকেটস্থ করছেন। শুধু এখাত থেকেই সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জমি নয়, লালমনিরহাট থেকে মোগল ১০ কিঃ মিঃ রেল লাইনসহ বিভিন্ন স্থানের জমি সংরক্ষন করা রেল লাইন উধাও হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। জেলার অনেক সচেতন মহল বলছেন, লালমনিরহাটের রেলের কর্মকর্তাগন এখানে সরকারের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে আসেনি। তারা আসছে নিজেদের আখের গোছাতে এবং তারা এবিষয়ে সফল হয়েছে। ইতি পুর্বে দৈনিক গণজাগরণসহ বিভিন্ন পত্রিকায় এতদ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারনে রয়েছেন নীরব। সুতরাং র্নিলজ্জ রেলওয়ে কর্মকর্তাদের টনক নড়েনি বলে সচেতন মহল মনে করছেন। ডি আর এম অফিসের সামান্য উত্তরে বিডি আর গেট এলাকায় রেল লাইনের আশেপাশে অসংখ্য জমি বেখল করে নিয়েছে কতিপয় ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে রেল কতর্ৃপক্ষ টু শব্দটুকু করছেন না। এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে (ভারঃ) এষ্টেট অফিসার শীর্ষ দুনীতিবাজ ও ঘুষখোর রেজুয়ানুল হক বলেন, এইসব জমি উদ্ধারে আমার দায়িত্ব নয়,এ দায়িত্ব আই ডাবলু সাহেবের। এ ব্যাপারে বিভাগীয় ম্যানেজার তপন কুমারের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। সম্প্রতি এইসব বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারের জন্য রেল মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হলেও অদ্যাবধি তারা আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সচেতন মহল বলছেন, রেলওয়ে কর্মকর্তারা রেলের সম্পদ রক্ষা করার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন না। তারা নিজেদের পকেট ভারী করতে সার্বক্ষনিক ব্যস্ত রয়েছেন। এ কারনে শত শত একর জমি বেহাত হলেও তাদের কোন যায় আসেনা। কোটি কোটি টাকার বেহাত হয়ে যাওয়া সম্পদ উদ্ধার ও দুনর্ীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলাবাসি প্রধান মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *