লালমনিরহাট অফিস \
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের মোহাজের কলোনীর কবুলিয়ত বাতিলের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন ভুক্তভভোগি আছির উদ্দিন ও আজিবর রহমান। তাদের বাড়ী নং ৬৮ ও ৬৬। গত ৪/১০/২০২০ইং তারিখে কুলাঘাট ইউনিয়নের মোহাজের কলোনির স্থায়ী বাসিন্দা মৃত: ছফর উদ্দিনের পুত্র আছির উদ্দিন ও মৃত: আব্দুল জলিলের পুত্র আজিবর রহমান এই আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করেছেন তৎকালীন ভারত সরকার তাদের আসাম থেকে বিতারিত করলে পাকিস্তান সরকার ৪৩/৫২-৫৩ নং অধি গ্রহন কেস মুলে সিএস ৪৬৫২ দাগের সর্বমোট ১৪৭.৮৬একর জমি মোহাজের পুর্নবাসনের নিমিত্তে অধিগ্রহন করে এবং প্রতিটি পরিবার বরাবরে ২.০০ একর জমি সরকারের অধিনে বন্দোবস্ত প্রদান করে। সে মোতাবেক উক্ত জমি আমরা বাংলাদেশ সরকারের অধিনে দখলভোগে আছি। কিন্তু জমিদারী উচ্ছেদ ও প্রজাস্বস্ত আইনের অধিনে এস এ জরিপ চলাকালে পুর্ব পাকিস্তান সরকারের পক্ষে ত্রান মন্ত্রনালয়ের অধিনে উক্ত জমি রেকর্ড না হয়ে পুর্ব পাকিস্তান প্রদেশ পক্ষে গর্ভমেন্ট একোয়াড ডিমলা রাজ এস্টেট নামে ১নং খাস খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত হয়। যদিও ওই জমি ত্রান মোহাজের কলোনির নামে রেকর্ড ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। সেই সুযোগে রেকর্ড পত্র যাচাই না করে তৎকালীন তহশীলদার মোহাজের পুর্নবাসনের জন্য অধিগ্রহনকৃত জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়া হয়। অবৈধভাবে ভোগদলীয়দের মধ্যে। ৩৮৩/৮৮-৮৯ ও ৩৮২/৮৮-৮৯ এবং ৮/৮/১৯৯০ ইং তারিখের ১০০২২ও ১০০১৬ নং কবুলিয়ত দলিল মুলে জনৈক নওশের আলি পিতা: আমানত শেখ ও আবুল হোসেন গং পিতা মৃত: বাছত উল্লা বনগ্রাম ( শিবের কুটি ) বরাবরে বন্দোবস্ত করেন। উল্লেখ্য থাকে যে, উক্ত বন্দোবস্ত কেস মুলে অত্র মোহাজের কলোনি ভুক্ত অন্যান্য দাগে ও ভুমিহীনদের মধ্যে জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। ভুল ভাবে এস এ রেকর্ড সম্পাদিত হওয়ায় উক্ত জমি ভুলভাবে খাস হিসেবে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। উক্ত জমি অবৈধভাবে কবুলিয়ত গ্রহীতাগন আমাদের উচ্ছেদ করার পায়তারা করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। উক্ত জমি হতে আমাদের উচ্ছেদ করা হলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। উল্লেখিত বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের পুর্নবাসনের জন্য ও কবুলিয়ত বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট জোড়দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা। জেলা প্রশাসক ছাড়াও আবেদনের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) লালমনিরহাট সদর বরাবরে প্রেরণ করেছেন। এব্যাপারে সদও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার বলেন, কবুলিয়ত বাতিলের এখতিয়ার আদালতের। তবে আমাদের যেহেতু আবেদন দিয়েছে তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে।
(বি:দ্র: প্রিয় পাঠক, ইহা একটি প্রতিকী ছবি, যা আমাদের ফাইল থেকে নেয়া হয়েছে।)