সঞ্জিত দাস: বাগেরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে ।এ উপজেলায় একটি রাস্তা এখন ও বর্ষাকাল আসলে হাটু সমান কাদা হয়। দেখলে মনে হয় আউশ ধানের বীজতলা। তার পরও হাটুসমান কাদা ভেঙ্গে প্রয়োজনিয় কাজ করতে শরহ ও বাজার মুখি হচ্ছে একটি গ্রামের কয়েক হাজার লোক।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ৯নং খুড়িয়াখালী ওয়ার্ডের পিলের রাস্তাাটি যেন ধানের বীজতলায় পরিনত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম এলেই এখান কার এলাকাবাসির চলাফেরায় নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। এক কিলো মিটার মাটির রাস্তা বর্ষা কালে পাড়ি দিয়ে এলাকবাসীর আসতে হয় উপজেলা সদর ও বাজারে। কোমল মতি ছেলে মেয়েরা এই হাটু সমান কাদা পার হয়ে আসে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
বর্তমান সময়ে হাটুকাদা ভেঙ্গে চলাচলের এমন দৃশ্য সচারচর চোখে পড়েনা। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় এখন প্রত্যন্ত গ্রামে ইট দিয়ে হলেও রাস্তা পাকা করন করা হয়েছে। এডিপি, এলজিএসপি, টিআর-কাবিখাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন তহবিল থেকে জনদুর্ভোগের এসব কাজগুলো করার কথা। কিন্তু সাউথখালী ইউনিয়নের অবস্থা দেখে মনে হয় সেখানে যেন সরকারের কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন সরকারি অর্থ তাহলে কোথায় যায়? এক কিলোমিটার দৈর্ঘের রাস্তার পশ্চিম দিকে রয়েছে গ্রামীণ ডাকঘর, একটি মাদ্রাসা ও একটি বাজার। রাস্তার পশ্চিম অংশে কয়েক হাজার লোকের বসবাস। ওই এলাকার বাসিন্দাদের স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাা এটি। হাঁটু সমান কর্দমাক্ত হয়ে নারী-পুরুষ, শিশু ও অসুস্থ রোগী নিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় জনপ্রতিনিধিদের উপর চরম ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রাসেল মুন্সি, মোফাজ্জেল হাওলাদার, হালিম হাওলাদার, ফয়সাল বয়াতী জানান, শরণখোলা উপজেলায় এরকম আর কোন রাস্তাা আছে বলে মনে হয় না। আমাদের এ রাস্তাটি জন প্রতিনিধিদের চোখে পড়ে না। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ২০ বছর আগের মতো এখনো যদি হাঁটু সমান কাদা ভেঙ্গে চলাচল করতে হয় তাহলে সরকারি অর্থ কোথায় ব্যয় হয়। আমারা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ বাচ্ছু মুন্সি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাাটির অবস্থা খারাপ। ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের আর সীমা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলার পর মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাস্তাাটির মাপ দিয়ে কাগজ জমা দিয়ে আসি।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এ রাস্তাাটি পাকা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এবছর না হলেও আশা করি আগামী বছর রাস্তার কাজ শুরু হবে।
শরণখোলা এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম জানান, ওই রাস্তাটি বৃহত্তর বাগেরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি পাশ করা হলে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তাফা শাহিন বলেন, রাস্তাাটি যাতে ইট দিয়ে পাকা করা হয় তার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *