বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শার্শায় এক কলেজ পড়ুয়া গৃহবধুকে জোর করে অপহরন করে তুলে নেওয়ার এক মাসের মধ্যেও উদ্ধার হয়নি বলে অভিযোগ করেছে। উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল মাঠপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ইমন এর স্ত্রী সোমাইয়া ইসলাম লাবনীকে একই গ্রামের হুসাইন আহম্মেদ জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক মাস আগে পালিয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি অভিযোগ করে। এব্যাপারে শার্শা থানায় অভিযোগ দায়ের এর পর প্রায় ১৮ দিন পার হলেও মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মেয়েটির কোন সন্ধান না পেয়ে তার পরিবার হতাশায় ভুগছে। লাবনী শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।

গৃহবধু লাবনীর স্বামী জিয়ারুল ইসলাম ইমন বলেন আমি প্রায় ১০ বছর তাকে বিয়ে করেছি। তাকে কোন রকম খারাপ কোন কাজের সাথে জড়িত দেখি নাই। মাঝে মধ্যে তারই চাচা পরিচয়ের ওই হুসাইন তাকে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিলে সে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করত। সে যশোর এম এম কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। অন্যদিকে হুসাইন ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা পড়া জানে। লাবনীর মা আনোয়ারা বেগম বলেন আমার মেয়েকে ৮ম শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় বিয়ে দিয়েছি। জামাই ইমন এমএ পাশ। তারা আমার বাড়িতে াকত। কারন আমার একটি মাত্র ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় আর কোন ছেলে মেয়ে না থাকায় তাদের বাড়িতে রেখেছি। পাশের বাড়ির লাবনীর চাচা পরিচয়ের হুসাইন মাঝে মধ্যে তার মেয়েকে ডিস্ট্রাব করত। এর আগে হুসাইন তার মেয়েকে গত ১০/০৪/২০ তারিখে জোর করে নিয়ে পালিয়ে যায়। আমার মেয়ে কৌশলে পরদিন সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এরপর গত ১৮/১১/২০ তারিখে মেয়েকে আবারও ওই হুসাইন নিয়ে পালিয়ে যায়। এবার অনেক খুজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে অবশেষে শার্শা থানায় গত ২৫/১১/২০ তারিখে অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ আসলেও উদ্ধার কাজে কোন অগ্রগতি হয়নি। আমরা আশঙ্কা করছি নাশকতার মামলার আসামি গাজা সেবন কারী হুসাইন আমাদের মেয়েকে জীবিত রেখেছে কি না; না মেরে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন আমার মেয়েকে তুলে নেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেছে হুসাইনের মা লতিফুন্নেছা।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে খোজ নিতে হুসাইনের বাড়ি যেয়ে তাদের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। গ্রামের সচেতন ব্যাক্তি ওয়াজেদ আলী বলেন হুসাইন একজন বখাটে ছেলে। সে বিএনপি জামাতের নাশকতা মামলার ্একজন আসামি। এর আগে সে নাশকতার মামলায় জেল খেটে বাড়ি আসে। সে এর আগে মেয়েটির স্বামী ইমনকে গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার হুমকি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে শার্শা থানার তদন্ত কারী অফিসার এস আই মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। তাদের বাড়িতে ইতি মধ্যে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়েটির মা । আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *