লালমনিরহাট প্রতিনিধি \
শেখ-শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজের নাম পরিবর্তন করতে বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। লালমনি বহুভাষী সাঁটলিপি কম্পিউটার কর্মাসিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ গোলাম ফারুকের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোঃ খোশরুজ্জামান ও মোঃ মাহামুদ হাসান তালুকদার এর বেঞ্চে গত ২৩/১১/২০২০ ইং তারিখে এ রায় প্রদান করেন। রায়ে বলেছেন, সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদে দায়ের করা আবেদনকারী ৩-নং আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে যথাযত সময়ের আবেদনকারী কতর্ৃক তার নিকট দাখিল করা রিট পিটিশন-এ-এর তারিখ ১২/৮/২০২০ ইং তারিখ এর আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশিত। তবে এটি পরিষ্কার করে দেয়া উচিত যে উত্তরদাতা নং-৩ আইন অনুসারে যে কোন উপায়ে উক্ত আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্বাধীন হবে। উক্ত আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা খরচ হিসাবে কোন আদেশ নেই। এতে প্রতীয়মান হয় যে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী উক্ত কলেজটি পুর্বের নামে বহালসহ (লালমনিরহাট বহুভাষী সাঁটলিপি কম কম কলেজ) প্রতিষ্ঠাতার আবেদন গ্রহনযোগ্য বলে গণ্য হবে। জানা গেছে, জেলা শহরের বহুল আলোচিত শেখ-শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ এন্তাজুর রহমান জোড় পুবর্ক পুর্বের কলেজের নাম পরিবর্তন ও প্রতিষ্ঠাতার নাম বাতিলের ঘটনায় গোলাম ফারুক মহামান্য হাইকোর্টে এক রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত এ যুগান্তকারী রায় প্রদান করেন। উল্লেখ্য থাকে যে, মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি গত ১২/৮/২০২০ ইং তারিখের আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন। এব্যাপারে লালমনিরহাট বহুভাষী সাঁটলিপি কম কম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম ফারুক বলেন, কলেজটি ১৯৯১ সালে আমি প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু বর্তমান শেখ শফিউদ্দিন কম্পিউটার কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ এন্তাজুর রহমান সম্পুর্ন অনিয়মাতান্ত্রিক ও বেআইনি ভাবে কলেজটির নাম পরিবর্তনসহ আমাকে প্রতিষ্ঠাতার পদ বাতিল করেছিলেন। তখন থেকেই আমি কলেজের নাম পরিবর্তন ও প্রতিষ্টাতার দাবী জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পত্র চালা চালি করে আসছি।