রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) সংবাদদাতা ঃ ঠাকুরগাও জেলার আদর্শ উপজেলা রাণীশংকৈল। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে মঞ্জুরীকৃত ১১টি পদের মধ্যে বিভিন্ন পদে ৬জন কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বৃহৎ উপজেলা হলেও ৫টি পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমান সময়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কারনে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে। উপজেলার সীমারেখা ২৮৭.৫৯ বর্গ কিঃ মিঃ জুড়ে। প্রায় সোয়া দুই লক্ষ লোকের বসবাস। সীমারেখায় রয়েছে একটি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়ন, ১২৫টি গ্রাম। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যানুযায়ী ৩,৫৬,২৯১টি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া রয়েছে। হাঁস মুরগী রয়েছে প্রায় ৫,১৭,৫৫৯টি। উপজেলায় রেজিঃ/সাধারণ পর্যায়ে গাভীর ৮৭, মুরগীর ৩৭, ছাগলের ১৫, ভেড়ার ১২, হাঁসের ২৩টি খামার রয়েছে। প্রতি বছর ৪৩,১৬৩ গবাদি প্রাণী, ৪৮, ১৭৬ হাঁস-মুরগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। গবাদি প্রাণীর টিকা প্রদান করা হয়েছে ৪৭,২৬৮টি এবং ৩,১৮,০০০টি হাঁস-মুরগীর। কৃত্রিম প্রজনন করা হয়েছে ১৮,০২০টি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসার চাহিদা অনুয়ায়ী লোকবল সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে অনেকটায় বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসি। অফিস কক্ষে ঢুকতেই উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জনকে পাওয়া যায়। পাশে বসা গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসা উপজেলার লোকজন। হাতে কাগজ কলম। চিকিৎসা সুবিধা পেতে আসা লোকজনের কথা সমস্যার কথা শুনে মনযোগ সহকারে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। চিকিৎসা নিতে আসা লেহেম্বার রতন বাবুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা এর আগে কখনো এমন ভাল মানুষ পায়নি। ডাক্তার বাবু আমাদের কথা মনযোগ সহকারে শুনে চিকিৎসা দিচ্ছেন। যত সম্ভব অফিস থেকে ঔষধ দিয়ে উপকার করছেন। এমন উপকার এর আগে কখনো পায়নি। ডাক্তার বাবু অনেক ভাল মানুষ।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মদন কুমার রায় (মোহন) জানান, অফিসে ৯টি পদের ১১ জন জনবলের মধ্যে ৬ জন কর্মরত আছেন। বাঁকি ৫টি শূন্য পদে লাক নিয়োগ হয়ে গেলে আমরা উপজেলায় চিকিৎসা সেবার মাইল ফলক তৈরী করতে পারব বলে আশা করছি।