রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাও ) সংবাদদাতা ঃ
ঠাকুরগাওয়ের হরিপুর উপজেলার ২নং আমগাও ইউনিয়নের আম বাগান বাড়িতে প্রতিদিন জমজমাট জুয়ার আসর বসে। এ বিষয়ে অজ্ঞাত কারণে সর্বস্তরের প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
উপজেলার এক নির্জন এলাকা এই আম বাগান বাড়ি। দিনের বেলাতেও অনেকে যেতে ভয় করবে এইসব জায়গায়। সন্নিকটে দেশের সীমান্ত এলাকা। প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত আটটা অব্দি চলে এই মরননেশা খেলা। অনেকে জুয়া খেলতে এসে টাকা পয়সা হেরে যাওয়ার পর সেখানেই দালালদের কাছে অল্প দামে ধান, ভূট্টা, গরু, ছাগল, মোটরসাইকেল ইত্যাদি বিক্রি করে জুয়ার টেবিলে বসে হেরে গিয়ে আবারও নিঃস্ব হয়। তাদের খাদ্যের যোগান দিতে সেখানে একটি ভ্রাম্যমান দোকান বসে। বিশ্বস্ত সুত্রে পাওয়া তথ্যমতে প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তরকে ম্যানেজ করেই জুয়ার মহোৎসব চলে এখানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার সুধিমহল’র দাবি কামাল চেয়ারম্যান, রনি সরকার’র নেতৃত্বে জুয়া খেলাটি হয়। তারা নাকি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই খেলা চালায়। এতে অনেকে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি তুলেন তাঁরা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মত এখানে গুঠি জুয়া খেলা হয়। ইউনিয়নের চৌকিদার থেকে শুরু করে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ সহ প্রশাসনের লোকজন টাকা পয়সা নিয়ে এই খেলা চালায়।
এব্যাপারে আমাগাও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পাভেল তালুকদার জানান, আম বাগান বাড়ির জুয়ার খেলার ব্যাপারে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে আমি গত মাসে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এখনও খেলা চলছে।
হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল কুদ্দুস এ ব্যাপারে বলেন, এত কিছু থাকতে জুয়া খেলা নিয়ে নিউজ করবেন ! হরিপুরে জুয়া খেলা কেউ কোনদিন বন্ধ করতে পারেনি আগামীতেও বন্ধ হবে কিনা সন্দেহ আমার। কারণ এখানকার মানুষ একটু সময় পেলেই জায়গা পরিবর্তন করে জুয়া খেলতে বসে এটা তাদের অভ্যাস। খবর পেলে তৎক্ষনাৎ আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করি।