ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত ও অবহেলিত উপজেলা ভোলাহাট। এ উপজেলার বেশীরভাগ মানুষগুলোই কৃষিকাজ নির্ভরশীল। আগের চেয়ে শিক্ষা ও অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও কিছু পরিবার রয়েছে, যাদের অর্থশালীরা একনজর ঘুরেও তাকায়না। সে ধরণেরই অবস্থা হয়েছে কাঠমিস্ত্রি বাবার সংসারে। একটি সংসারের বাবা-মায়ের কাছে প্রিয় তার ছেলেমেয়ে। এমনি এক গরীব-অসহায় বাবা-মায়ের সন্তান আয়েশা সিদ্দিকা জলি(১৯) একটি ভাল্বের জন্য অর্থের অভাবে মৃত্যুর প্রহড় গুণছে জলি। উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের সামান্য কাঠমিস্ত্রির কাজ করে দিন আনে দিন খায় বাবা জালাল উদ্দিন। মা হিরা বেগম গৃহিনী। মেয়ের এ দুর্দিনে আল্লাহর কাছে দোয়া ছাড়া কিইবা আছে তার মেয়ের জন্য কিছু করার। এমনি তাদের অবস্থা ভিটা-মাটিটি আছে কিন্তু ভালভাবে ঘরটিও নেই তাদের। অভাবের সংসারে এহেন দৈন্য-দুর্দশায় বাবা জালাল উদ্দিনের মেয়ে জলি নামের মেয়েটির একটি ভাল্ব নষ্ট প্রায়। দিশেহারা হয়ে দিকবেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে বাবা তার মেয়েকে যদি কোন বুদ্ধি করার উপায় বের করতে। সামান্য কিছু টাকা জোগাড় করে জালাল তার মেয়েকে নেয় ডাক্তারের নিকট। ডাক্তার বলেছে, যতো দ্রুত সম্ভব উন্নত চিকিৎসা নিতে হবে দেশের বাইরে নিয়ে। যার দরুণ খরচ হবে প্রায় ৩লাখ টাকা। নইলে আয়েশাকে বাঁচানো যাবে না। আয়েশার বাবা জালাল উদ্দিন ও মা হিরা বেগম ভেবে দিশেহারা। এতো ব্যয়-বহুল চিকিৎসা কোথ্থেকে করাবে। কয় টাকাই বা আয় করে সারাদিন কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে কোনমতে ছেলেমেয়েদের পেটের ভাত যোগাড় করতেই শেষ। এমতাবস্থায় আয়েশার চিকিৎসা কোথায় পাবে। তাই বাবা জালাল উদ্দিন মেয়ের মুল্যবান জীবন বাঁচানোর তাগিদে লাজ-লজ্জা ছেড়ে সুহৃদয় দানবীর ব্যক্তি তার মেধাবী মেয়ে আয়েশার চিকিৎসা করার জন্য তাদের দানের হাত সুপ্রসারিত করেন। তাহলে অধ্যায়ণরত মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা জলি প্রাণে বেঁচে যাবে। আর সে মুহুর্তে বাবা-মায়ের কাছে সোনার হরিণ পাওয়া সমুতুল্য পরিমাণ হয়ে দাঁড়াবে। সেই সাথে দানবীরের জন্য পরপারের পাথেয় হয়ে থাকবে। সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নম্বর-০১৭৪৪-৬৮৯৬৩৪(রুম্মান আলী)।