চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ-
ও কি গাড়িয়াল ভাই হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারী বন্দরে- গানের মাধ্যমে পরিচিত দেশের সব থেকে প্রাচীন নৌ বন্দরের উন্নয়নে ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে চিলমারী উন্নয়ন নাগরিক কমিটি নামে একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের অতি সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সংগঠনটি সরকারের পাশাপাশি চিলমারীর উন্নয়নে কাজ করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ বলে জানাগেছে।

ইতোমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০টি দাবি তুলে ধরে পোষ্টার প্রচার শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে সেঁটে দেয়া হয়েছে লাল রং এর পোষ্টারটি। ১০টি দাবির মধ্যে রয়েছে ,চিলমারী উপজেলাতে পৌরসভা ঘোষণা করা, কুড়িগ্রাম থেকে রমনা রেল স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ থাকা ট্রেন সমূহ পূর্বের মতো দ্রুত চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ, রমনা রেল ষ্টেশন থেকে রমনা নৌ ঘাট কিংবা জোড়গাছ বাজার পর্যন্ত রেল লাইন বর্ধিত করে, নতুন ষ্টেশনের নাম চিলমারী রেল ষ্টেশন রাখা , চিলমারীতে সরকারি ভাবে বালু মহাল ঘোষণা করা, শিল্প কারখানা স্থাপন করা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত চিলমারী নৌ-বন্দরের কাজ দ্রুত দৃশ্যমান করা, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর কাজ দ্রুত শুরু করা, চিলমারী হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নিত করা, মিনি স্টেডিয়ামের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা ও শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব ভবন স্থাপন করা। চিলমারী উন্নয়ন নাগরিক কমিটির ঘোষিত ১০টি দাবি স্থানীয় জনমনে ব্যাপক সারা ফেলেছে।

এই দাবি সমূহের ব্যাপারে চিলমারী উন্নয়ন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব বিশিষ্ট কবি,লেখক,সাংবাদিক সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদার মুখোমুখি হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, এই দাবিগুলি চিলমারীর সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি। পূর্বে চিলমারী রেলওয়ে ষ্টেশন নামে একটি রেল ষ্টেশন ছিল যা ১৯৭১ ইং সালে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। চিলমারী রেলওয়ে ষ্টেশন নামের সেই রেল স্টেশনকে পূর্ণ জীবিত করা হ্উক।মাননীয় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিলমারীর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সেই পদক্ষেপ সমূহ বাস্তবায়িত হলে চিলমারী আবারও নৌ বন্দর হিসেবে তার হারানো গুরুত্ব ফিরে পাবে। এ ব্যাপারে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আখতারুজ্জামান আসিফ বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুত সুধী সমাবেশের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরব এবং চিলমারীর সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলমত নির্বিশেষে চিলমারীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

চিলমারী উন্নয়ন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এইচ এম রহিমুজ্জামান সুমন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের দাবি আরও বৃদ্ধি হবে। আমরা সুধী মহলের সাথে মতবিনিময় করে চিলমারী ঢোকার প্রবেশদ্বারে চিলমারীর ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি এবং ভাওয়াইয়া ও পল্লী গীতির সম্রাট মরহুম আব্বাস উদ্দিনের ম্যুরালসহ মাটিকাটা মোড়ে ১৯৭১ সালে চিলমারী অপারেশনে নিহত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে শহীদদের নাম সম্মিলিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ও নতুন ভাবে পুনঃ প্রতিষ্ঠিতব্য নৌ- বন্দরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল স্থাপনের জন্য দাবি জানানোর কথা ভাবছি। এক কথায়, আমরা চিলমারীর উন্নয়নে সরকারের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *