ঢাকা সংবাদদাতাঃ

দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধাণে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপ জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে। অথচ এরই মধ্যে সরকারী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অসংলগ্ন আচরন করছেন। যা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ ইংগিত বহন করছে বলে অভিমত প্রকাশ করে আলোচকবৃন্দ বলেছেন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান শহীদ আসাদ ও শহীদ মতিউরের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে এখন এক ব্যাক্তির শাসন প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে “১৯৬৯ এর ২৪ জানুয়ারী গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে” বাংলাদেশ যুব ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক বাহাদুর শামিম আহমেদ পিন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের যুগ্ম সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল, যুব ন্যাপ যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান পলাশ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, গ্রহণযোগ্য সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে দেশে যদি আবারও সংকট ঘনীভূত হয় এবং নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তার দায় সরকারকেই গ্রহন করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে জনগণের মতামত উপলদ্ধি করে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সার্চ কমিটি গঠন করবেন। যারা পরবর্তিতে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। কিন্তু, সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা তা করতে দিতে চাননা রাষ্ট্রপতিকে। আর সেই জন্যই রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কিত করার মতো বক্তৃতাও দিচ্ছেন তারা।

তিনি বলেন, ১৯৬৯ এ শহীদ আসাদ আর শহীদ মতিউরের রক্তের পথ ধরেই স্বৈরাচারের পতন হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনে রুপ নেয়। বর্তমান শাসকগোষ্টি গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন। শাসকগোষ্টি দেশ ও জনগনের স্বার্থ রক্ষার চাইতে নিজেদের অবৈধ শাসন রক্ষায় ব্যাস্ত।

মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেছেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার উন্নয়নের নামে মিথ্যাচার করছে। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন টেকসই হয় না। সরকারের কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই। সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা ও দুর্নীতি। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। আর তাদের ইঙ্গিতেই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বাক্সে বন্দি করে রেখেছে।

মোঃ শহীদুননবী ডাবলু বলেছেন, জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। সরকার জনগণকে ভয় পায়। এজন্যই ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে চায় না।

মোঃ কামাল ভুইয়া বলেছেন, ইতিহাস বলে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় না। কেউ কোনো দিন পারেনি।

সভাপতির বক্তব্যে বাহাদুর শামিম আহমেদ পিন্টু বলেছেন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় ক্ষমতাসীন অপশক্তির বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের সূচনা করতে হবে। শহীদ আসাদ, শহীদ মতিউরের প্রদর্শিত পথে দেশের যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন