pic-06-01-2017-1
ঢাকা সংবাদদাতা

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সরকারের মেরুদন্ডহীন, নতজানুর পররাষ্ট্রনীতির ফলে ভারতের চতুর্মুখী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যথার্থ ভূমিকা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন, সীমান্তে ফেলানীকে হত্যার ৬ বছর অতিবাহিত হলেও কোনো ওয়াদাই রক্ষা করেনি বিএসএফ। ওরা ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলায়নি বরং বাংলাদেশকে কাঁটাতারে ঝুঁলিয়েছে। তারা নববর্ষ, ঈদের দিনসহ বিভিন্ন দিবসে হত্যকান্ডে মেতে ওঠে বাংলাদেশের প্রতি বৃদ্ধঙ্গলি প্রদর্শন করছে।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস’ পালন করার দাবিতে এবং মায়ানমারে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি এবং মানবাধিকার জোটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক মানববন্ধন কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল মহাসচিব এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি এস.আল-মামুন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, এনডিপি যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ ফরিদউদ্দিন, সাবেক কমিশনার মোঃ ফরিদউদ্দন, সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, স্বাধীনতা ফোরামের সহ-সভাপতি এম. ইলিয়াস আলী, মানবাধিকার জোটের মহাসচিব মিলন মল্লিক, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন, বাংলাদেশ লেবার মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন মাল, অপরাজেয় বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সংগঠনের সদস্য মোঃ আবু রায়হান, আবুল কালাম ভোলা, মোঃ রাজিবুল ইসলাম রাজিব প্রমুখ।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর হয়ে গেলো, কিন্তু এতদিনেও বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হলো না। আসলেই আমরা ব্যর্থ। ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কটির নাম ফেলানীর নামে রাখা হোক।

তিনি বলেন, সরকার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনো বিষয়েই সামান্য অর্জন করতে পারেনি, পারছেও না। সরকারের এ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সীমান্তে হত্যার পর হত্যা করা হচ্ছে কিন্তু সরকার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে রেখেছে।

শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের যে বন্ধুত্বের জন্য ট্রানজিট-করিডোরসহ সবকিছুই ভারতকে দিয়ে ফেলেছেন এবং এখনো শুধু দিতেই ব্যস্ত রয়েছেন সে বন্ধুত্বের নাগাল তারা কোনোদিনই পাবেন না। কারণ, সেবাদাসদের ভারত শুধু সেবাদাস হিসেবেই ব্যবহার করে, কাজে লাগায়।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেছেন, ফেলানীর ঘটনায় প্রমানিত হয়েছে ভারত তার আগ্রাসী চরিত্র থেকে এতটুকু পিছু হটে নাই। তারা বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। দেশপ্রেমিকরা মনে করেন, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই সরকারের উচিত সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যা বন্ধ ও প্রতিহত করার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন