কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

চরম অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের মাঝে চলছে নারায়নপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যক্রম। কর্মরত ভিজিটর, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারি সেবাদানকারী নিয়ম-নীতি মানছে না এবং অনিয়ম ও অনুপস্থিতর কারণে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মা ও শিশুসহ স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চারিদিকে গঙ্গাধর- ব্রহ্মপুত্র নদী-চরাঞ্চল বেষ্টিত, ভাঙন কবলিত, সীমান্ত ঘেঁষা ও প্রায় ৬২হাজার জনসংখ্যার মধ্যে দরিদ্র ও বাল্য বিবাহের হার সবচেয়ে বেশি এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি না থাকায় বাড়ছে জনসংখ্যা। এছাড়াও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে মা ও শিশুরা।

নারায়নপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় অফিস বন্ধ। গত ৩বছর থেকে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুল মোন্নাফ নীতিমালা অমান্য করে স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রায় বন্ধ রাখেন এবং তার আওতাধীন পরিবার কল্যাণ সহকারি হোসনেয়ারা হেনা এর এরিয়া বালারহাট, কন্যামতী সহ ৮টি এবং পরিবার কল্যাণ সহকারি হালিমা খাতুন নারায়নপুর, উওর ঢাকঢহর, ডুমুরদহর চরাঞ্চলিয় এলাকায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রদ্ধতি প্রণয়নে অনিয়ম করায় দিন দিন ঘরে ঘরে বাড়ছে শিশুর সংখ্যা। পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের মাঠে থাকার কথা থাকলেও বেশীর ভাগ কর্মীকেই মাঠে পাওয়া যায় না। এতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে বঞ্চিত মা ও শিশুরা। চিকিৎসা সেবা হয় কাগজে মাত্র।

এদিকে পরিবার কল্যাণ সহকারি হোসনেয়ারা হেনা অধিকাংশ সময় রংপুর এবং ফুলবাড়ি উপজেলার বালারহাট গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে থাকেন। প্রতিমাসে দুই তিন দিন এলাকা ঘুরে কাগজে কলমে কাজ দেখিয়ে বেতন উত্তোলন করেন। তার অবহেলার কারণে বালারহাট, কন্যামতী, পাখিউড়া, ঝাউকুটি ও চৌদ্দঘুড়ী, মাঝিয়ালী, কুলামূয়া কালার চর চরাঞ্চলের মহিলা ও শিশুরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।

এলাকাবাসী বলেন, গত ৩ বছর থেকে নারায়নপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শ আব্দুল মোন্নাফ স্থানীয় হওয়ার সুবাদে প্রতিমাসে দুই তিন দিন স্বাস্থ্য কেন্দ্র খুলেন অবশিষ্ট সময় বন্ধ থাকে। আমরা চিকিৎসা সেবা থেকে যেমন বঞ্চিত তেমনি মহিলারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রদ্ধতি থেকেও বঞ্চিত।

নারায়নপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুল মোন্নাফ বলেন, পরিবার কল্যাণ সহকারি হোসনেয়ারা হেনা ও হালিমা খাতুন অনিয়ম করায় তাদের বেতন বন্ধ ছিলো। জনবল বাড়লে আমরা জনগণকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারবো বলে আশা করছি।

নাগেশ্বরী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল আমিন অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, বর্তমানে ট্রাবের মাধ্যমে অনলাইনে জনগনের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *