ফারহানা আক্তার,,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
মানুষের জানমাল রক্ষা, চুরি-ডাকাতি, ছিন্তাই, চাঁদাবাজি, চোরাচালানি ও মাদক কারবারসহ সকল প্রকার সংঘটিত অপরাধ দমনের লক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন থানা পুলিশ। উপজেলায় প্রবেশের প্রতিটি রাস্তার দাঁড়ে দাঁড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এছাড়া শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও বড় মার্কেট ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়। এ কারনে সাধারন জনগন, ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পথচারী, দোকানদারসহ সবাই এর সুফল ভোগ করছেন। পুলিশ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় আগের তুলনায় চুরি-ডাকাতি, ছিন্তাই অনেকাংশে কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা র্নিদিধায় ব্যবসা-বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন অভিমত অনেকের। পুলিশ বলছেন, উপজেলাবাসীর নিরাপত্তা জানমালসহ তাদের সম্পদ রক্ষায় প্রতিনিয়ত পুলিশি ডিউটির পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলার আটাপাড়া রেলগেট এলাকায় চা-পানের দোকান করে সংসার চালায় আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, আমার দোকান থেকে ভারতের দূরত্ব মাত্র এক’শ হাত। সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন রকমের মানুষের আনাগোনা হয় এখানে। দিন ভালোভাবে কাটলেও ভয় হয় রাতে কখন যে কি হয়ে যায়। পুলিশ সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরে আর সে ভয় নেই বলে জানান আজিজ। পাঁচবিবি পৌর শহরের গোপালপুর গ্রামের নাদিম মন্ডল বলেন, আমাদের বিভিন্ন ব্যবসার মধ্যে কয়েকটা পুকুরে মাছচাষ করে আসছি। চোরের উৎপাতে মাছচাষ বন্ধই করতে চেয়েছিলাম কিন্ত পুলিশের সিসি ক্যামেরার কল্যাণে এখন মাছ চুরি বন্ধ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ বাজারের দোকান পাহাড়ায় থাকা নাইট গার্ডরা বলেন, আগে আমরা রাত জেগে দোকান পাহাড়া দিলেও অনেক সময় চোর-ডাকাত আমাদের হাত-পা বেঁধে রেখে চুরি করত। থানা পুলিশ সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য আর এমন দূর্ঘটনা ঘটে না আমরাও নিরাপদে থাকি।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে ১২ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে ভারত। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, মাদকসহ নানান অপকর্ম একটু বেশী হয়ে থাকা। অপকর্ম প্রতিরোধে উপজেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ’শ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলাবাসি এখন সিসি ক্যামেরার সুফল পাচ্ছেন বলেও জানান ওসি পলাশ।