কবি-দুর্গা শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়
অভাব!
অভাবে স্বভাব নষ্ট,
অভাব মোচনের প্রয়াস চির অব্যাহত।
অভাব আছে বলেই মানুষ দায়বদ্ধ,
সর্বত্রই অভাব পূরণ এক মহান লক্ষ্য।
কী শ্রমজীবী বা শিল্পপতি,
শিশু থেকে বৃদ্ধ, ছাত্র অথবা শিক্ষক,
জনতা কিংবা জননেতা, পূজারী অথবা ভক্ত,
সংসারী কিংবা সন্ন্যাসী, রোগী নয়তো ভোগী
কন্যা কিংবা জায়া, কিশোরী কী বৃদ্ধা
সক্ষম বা প্রতিবন্ধী, সবাই অভাবগ্রস্ত।
কারো শিক্ষার অভাব, কারো আবার জ্ঞানের
কারো অর্থের অভাব, কারো মনুষ্যত্বের।
কারো খাদ্যের অভাব,
কারো শান্তির,
কারো শক্তির অভাব, কারো স্বাস্থ্যের,
আরো কত কী,
সুখ, আনন্দ, বন্ধু, সন্তান ইত্যাদি,
অভাব চারিদিকে।
অথচ, আজকের দুনিয়ায়
নেই কিছু এমন নয়।
বিলাস বৈভব, ইমারত অট্টালিকা,
যানবাহন বিনোদন প্রসাধন, পান-ভোজন,
সব কেবল সুখশান্তির জন্য, আনন্দের জন্য
অভাব মোচনের জন্য।
সৃষ্টির আদিকাল থেকেই
মানবজাতি বুদ্ধি শ্রম-অধ্যবসায় লাগিয়ে
অভাব মেটানোর প্রয়াসে বদ্ধপরিকর।
তবু অভাব সর্বত্র,
বিপুলা পৃথিবীর কোণায় কোণায়
শুধু অভাবের প্রাচুর্য।
এত বিভেদ, হানাহানি, হিংসার বাস।
তাই কী ধরণী শান্তিহীনা!
হয়তো তাই।।