খলিলুর রহমান
বিশেষ প্রতিনিধি, এশিয়ান বাংলা নিউজ
বরগুনার আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার সেলিম মাহামুদের বিরুদ্ধে সেকায়েফ শিক্ষা জরিপের নামে বিপুল পরিমান অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ টি মাদ্রাসায় ১১’শ ৬২ শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সেকায়েফ শিক্ষা জরিপ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ শুরু হয়ে চলতি বছর ৫ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। এ জরিপের প্রতিবেদন অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কাজ চলছে। উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার সেলিম মাহমুদ, শিক্ষক রেজাউল করিম ফরিদ, জাকির হোসেন ও মিলন কর্মকার এ জরিপ কাজ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এ জরিপ টিম প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করেছে। আরো অভিযোগ রয়েছে, একাডেমিক সুপার ভাইজার সেলিম মাহমুদ ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকায়েফ জরিপ করতে গিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ আদায় করেছেন।
আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ বশির উদ্দিন এশিয়ান বাংলা নিউজ এর প্রতিনিধিকে জানান, শিক্ষা জরিপ ফরম নিয়ে ওই কর্মকর্তার (সেলিম মাহমুদ) কাছে গেলে তিনি ২ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা না দেয়াতে কাগজপত্র ছুড়ে ফেলেন।
তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুছ মিয়া জানান, অনলাইনের খরচ বাবদ কিছু টাকা দিয়েছি।
অভিযুক্ত মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার সেলিম মাহমুদ উৎকোচের বিষয়টি অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, আমি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ করিনি। শুধুমাত্র ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ কাজে ফোনে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে কথা বলেছি।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে এশিয়ান বাংলা নিউজ এর প্রতিনিধিকে বলেন, একাডেমিক সুপার ভাইজার ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ কাজ করেছেন। এ কাজে কোন ধরনের উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।