ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন বড় ভাই রাজমিস্ত্রী ফিরোজ হাওলাদাকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামী ছোট ভাই রুহুল আমিনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খাগড়াছরির মানিকছড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ১৩নভেম্বর বিকালে ঝালকাঠি আদালতে সোপর্দ করলে তাকে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমীন উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মৃত সফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছোট ছেলে ও নিহতের আপন ছোট ভাই।
কাঠায়িলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুরাদ আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানা পুলিশের সহযোগীতায় শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। বড়ভাই ফিরোজ হাওলাদার হত্যা মামলায় দীর্গ দিন পালাতক থাকা খুনী রুহুল আমিন কে গ্রেপ্তারের পর প্রয়োজনীয় আইনী প্রক্রিয়া শেষে শনিবার দুপুরে ঝালকাঠিতে আনা হয়েছে বলে ওসি মুরাদ আলী জানিয়েছেন।

নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী রানী বেগম জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের এক মাঠকর্মীকে হত্যার দায়ে রুহুল আমিন যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে এসেই আমার স্বামীকে হত্যা করে। স্বামীর হত্যাকারী রুহুলকে গ্রেপ্তার করাতে সক্ষম হওয়ায় তিনি সন্তোস প্রকাশ করে পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং অবিলম্বে বিচারের মাধ্যমে তার ফাঁসির দাবী জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের চিংড়াখালী গ্রামের মৃত শফিজ উদ্দিন হাওলাদারের মেঝ ছেলে রাজমিস্ত্রী ফিরোজ হাওলাদারের সাথে তারই আপন ছোট ভাই রুহুল আমিনের পারিবারিক বিষয় ও জমিজমা নিয়ে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায় রুহুল আমিন ধারলো দাও দিয়ে কুপিয়ে ফিরোজ হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রানী বেগম বাদী হয়ে রুহুল আমিনকে আসামী করে কাঠালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *