এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে খানসামাবাসীর। শেষ হচ্ছে দীর্ঘদিনের দূর্ভোগে। উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা সদরে নির্মিত ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। এটি চালু হলে সেবা পাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী লাখো মানুষ।
খানসামা উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পাকেরহাটে অবস্থিত। আর উপজেলা সদর থেকে পাকেরহাটের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। আর জেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। ফলে খানসামা সদরে বসবাসকারী কেউ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক কোন সেবা পাওয়া যায়না। ছুটতে হয় ১০ কিলোমিটার দূরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা দিনাজপুর নয়তো রংপুরে। ফলে নব নির্নিত এই হাসপাতালটি চালু হলে ভোগান্তি কমবে উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগরে তথ্য মতে হাসপাতালটি নির্মাণ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তরের এক বছর হলেও প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে মাস দুয়েক আগে। আধুনিক ভবনটি চালু করার জন্য ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও মেডিকেল সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে। তবে এখনও জনবল ও আর্থিক বরাদ্দ না পাওয়ায় হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। ফলে কাঙ্খিত সেবা পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সময়মতো হাসপাতাল এর সেবা চালু করা না গেলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিছু সংখ্যক মেডিকেল সরঞ্জামাদি।
তবে স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী,এমপির নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় সীমিত পরিসরে এই হাসপাতাল চালু করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়েই ১৫ নভেম্বর খানসামা সদরে নির্মিত হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি৷
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে একজন মেডিকেল অফিসার ও একজন স্যাকমো আউটডোরে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। এছাড়া গর্ভবতী মায়েদের সুচিকিৎসার জন্য একজন মিডওয়াইফ প্রসব পূর্ববর্তী এএনসি ও প্রসব পরবর্তী পিএনসি সেবা প্রদান করবেন। এর পাশাপাশি এখানে ইপিআই বিভাগের আওতায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈকত সাহা, মিঠুনসহ অনেকে বলেন, হাসপাতালটি চালু হলে আমাদের ভোগান্তি কমবে। তবে দ্রুত পুরোদমে সেবা কর্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন এতে জনগণ এখানেই অনেক চিকিৎসা পাবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, নতুন এই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম চালুর ফলে স্বাস্থ্য সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল। উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি মহোদয়কে ধন্যবাদ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.মিজানুর রহমান বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সীমিত পরিসরে সেবা কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হাসপাতালের জনবল ও আর্থিক বরাদ্দ পেলে হাসপাতালটির সেবার মান ও পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে সেবা গ্রহীতারা সহজেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। যার ফলে উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা পাবে নতুন গতি।