কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা ঃ
দিনমজুর সাহাদত আলী ও মা সাথিনা বেগমের একমাত্র ছেলে শাহীন আলম। অভাবের সংসার। টাকার অভাবে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি শাহীন। অতিকষ্টে ভর্তি হয় বিকেএসপিতে। সেখান থেকেই এসএসসি পাস করে।
যুব বিশ্বকাপ কাঁপানো শাহীনের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা পাইকপাড়ায়। ‘ছোটবেলা থেকে তার ক্রিকেট খেলায় ছিল বেশ ঝোঁক। কিন্তু ছেলেটাকে একজোড়া জুতা কিনে দিতে পারিনি। বাব-মা উল্টা বকাঝকা করে বলেছিল আমাদের মতো গরিবের জন্য খেলাধুলা নয়। সে আজ বিশ্ব জয় করেছে জেনে খুশি তার পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রামের মোবাইল ব্যবসায়ী ফিরোজ টেলিকমের মালিক ফিরোজ ক্রিকেটার শাহীন আলমের দুঃসময়ে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। তার খেলার প্রতিভা দেখে সব দায়িত্ব নিয়েছিল ফিরোজ আলম ।
কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু মো. সাঈদ হাসান লোবান জানান, ২০১৭ সালে শাহীন আলম বিকেএসপিতে ভর্তি হয়। পরে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলতে শ্রীলংকায় যায়। সেখান থেকে পরে এবারের যুব বিশকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়। তার বিশ্ব জয়ের কুড়িগ্রামবাসী আজ গর্বিত।