রোকনুজ্জামান মানু উলিপুর (কুড়িগ্রাম) ঃ
জুয়া খেলায় বাঁধা দেওয়ায় এক পাষন্ড স্বামী স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের জাহাজের আলগা গ্রামে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর পিতা থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ স্বামী সাদ্দাম হোসেন (৩২) কে আটক করেছে।
পরিবার ও মামলার বিবরনে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেল মামুদ গ্রামের আমজাদ হোসেনের কন্যা আনজামা বেগম (২৮) এর সঙ্গে সাহেবের আলগা ইউনিয়নের জাহাজের আলগা গ্রামের আনজের আলীর পুত্র সাদ্দাম হোসেনের ৯ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই সাদ্দাম হোসেনের জুয়া খেলা ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার প্রতিবাদ করলেই প্রায় সময় ওই গৃহবধুর উপর অমানুষিক নির্যাতন করে আসছিল। গত মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) রাতে সাদ্দাম হোসেন জনৈক মহির মোল্লা টংঘরে মাটিকাটার শ্রমিকসহ জুয়া খেলতে গেলে দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধু সেখানে উপস্থিত হয়ে স্বামীকে জুয়া খেলা থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। রাতে বাড়িতে ফিরে স্ত্রী আনজামা বেগমকে মারপিট করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হত্যা করে লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেয় বলে গৃহবধুর পিতা আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার (০৭ জুলাই) উলিপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই ওই গৃহবধুর স্বামী আমজাদ হোসেনকে আটক করে।
সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মন্ডল বলেন, লোকমুখে শুনেছি ওই গৃহবধু অত্যাচারের শিকার হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আবার এ অভিযোগও আছে তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাই লাশ উদ্ধারে নদীতে খোঁজাখুজি অব্যাহত আছে।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস কে আব্দুল্যা আল সাইদ জানান, আটককৃত আসামী সাদ্দাম হোসেনকে শনিবার (০৮ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।