মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন গুনাইগাছ ইউনিয়নের জুম্মাহাট কেবলকৃষ্ণ এলাকায় পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বিমাতা ভাই ও তার পরিবারের সদস্যদের সন্ত্রাসী হামলায় উত্তারাঞ্চলের অন্যতম কলের গান সংগ্রহকারক মোঃ আমজাদ হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ মোসলেমা খাতুন ও পুত্র মাসুদ রানা রক্তাক্ত গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের উলিপুর থানায় মোঃ আমজাদ হোসেন নিজে বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন গুনাইগাছ ইউনিয়নের জুম্মাহাট কেবলকৃষ্ণ এলাকায় পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বিমাতা ভাই ও তার পরিবারের সদস্যদের সন্ত্রাসী হামলায় উত্তারাঞ্চলের অন্যতম কলের গান সংগ্রহকারক মোঃ আমজাদ হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ মোসলেমা খাতুন ও পুত্র মাসুদ রানা আহত হয়। ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ শে ডিসেম্বর’২০২৩ইং সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকায়। এ দিন মাসুদ রানা তার চাচা আক্কাছ আলীর বাড়িতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ১) মোঃ মুকুল মিয়া, পিতাঃ মৃত- দেলোয়ার হোসেন, ২) মোছাঃ বকুল বেগম, স্বামীঃ মোঃ মুকুল মিয়া, ৩) মোঃ আতিকুর রহমান, পিতাঃ মৃত দেলোয়ার হোসেন, ৪) মোছাঃ শেফালী বেগম, স্বামীঃ রাশিদুল ইসলামগং সঙ্গীয় লোকজন সহ মাসুদ রানাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। মাসুদের আত্ম চিৎকারে তার মোসলেমা খাতুন এগিয়ে গেলে তার উপরেও হামলা চালানো হয়। হামলায় মোসলেমা বেগম জখম প্রাপ্ত হয়। সন্ত্রাসীরা মোসলেমা বেগমকে শ্লীলতাহানী ঘটনায়, ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন এবং মাসুদের জ্যাকেটের পকেটে থাকা ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের আত্ম চিৎকারে নুরজাহান বেগম, পারুল বেগম, আক্কাছ আলী, পারভেজ সহ স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে এলাকাবাসী আহত মোসলেমা খাতুন ও মাসুদকে উলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় উত্তারাঞ্চলের অন্যতম কলেরগান সংগ্রহকারক মোঃ আমজাদ হোসেন নিজে বাদী হয়ে উলিপুর থানায় একটি লিখিত মামলা দায়ের করে। উলিপুর থানার এসআই মিঠুন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সরেজমিন তদন্ত করেছে।