এস.এম. রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ঋণের চাপ সইতে না পেরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার তেবাড়িয়া চৌরঙ্গী এলাকায় ফজিলা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নিহত ফজিলা বেগম উপজেলার ০৩ নং আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া ডাঙাপাড়ার মৃত ইকবাল হাসানের স্ত্রী। নিহত ফজিলা পার্শ্ববর্তী একটি হাসকিং মিলে মজুরী ভিত্তিতে কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে নিহতের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহতের ছেলে রকি ইসলাম ও মেয়ে হাসিনা খাতুনসহ প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেই সংসার পরিচালনা করেন নিহত ফজিলা বেগম। প্রায় দেড় বছর আগে মেয়ের বিয়ে দেন নিহত ফজিলা বেগম। ওই মেয়ের বিয়ের যৌতুক ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য অভাবের তাড়নায় স্থানীয় সুদারুদের কাছে টাকা নেন নিহত ফজিলা বেগম। পরবর্তীতে এই টাকা পরিশোধের জন্য ০৩ টি এনজিও থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাক ঋণ গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু নিজের সীমিত আয় থেকে ভরণপোষণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এই অবস্থায় কয়েক সপ্তাহ থেকে কর্মরত বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাসকিং মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন। এতে ঋণের কিস্তি ও সুদের টাকা পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে ফজিলা বেগমের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁর ছেলে ও প্রতিবেশীরা মিলে নিহতের শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (পাকেরহাট)-এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমূল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে ঋণের চাপ সইতে না পেরে ফজিলা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় দাফনকার্য সম্পন্ন করার জন্য মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *