বিপুল রায়- স্টাফ রির্পোটার কুড়িগ্রামঃ
ছোট একটা খুপরী ঘর, তার একপাশে গরু পাশেই লাগানো মানুষের থাকা চৌকি সেখানে দুই মাসের সন্তানকে নিয়ে বসে আছেন গৃহবধু পাশেই বসা লালবানু আর মনজিলা বেগম।ভাঙা টেবিল সেখানেই চলে রান্না খাওয়া। এমনই করুন পরিস্থিতির শিখার কুড়িগ্রামের হাজারো বানভাসি মানুষ। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব বালাডোবা চরে বানভাসি মানুষের চিত্র এমনটাই বেশি।এই ঘরটিতে ২ টি গরু ৫ জন মানুষ হাঁস-মুরগিসহ ২ সপ্তাহ ধরে এভাবে দিনাতিপাত করছেন তারা।বাকি তিনটি ঘরে কোমর পানি।লালবানু জানান সব ঘরে অনেক গুলে পানি গরু রাখার জন্য ঘরটি উচু করি এহন ওটায় গরু হাঁস-মুরগি আমরা থাকছি,বান আসলে আমাদের কষ্টের শেষ নাই ছোট ছইল পইল নিয়ে কষ্টে থাকি দুই সপ্তাহ ধরে শুধু ১ বেলা রান্না হয় তাও শুধু ভাত তরকারি নাই। নদী ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেলে ওই চরে এসে বাড়ি করে অনেকে কিন্তু এক মাস থেকে বন্যার পানি না নামায় বিপদে আছে অনেক পরিবার।
অনেকে জানান যে তারা কয় কেজি সরকারি ত্রান পেয়েছে একবার তাছাড়া আর কোনো ত্রাণসামগ্রী পায়নি। কুড়িগ্রাম সচেতন মহলের দাবি বিভিন্ন সরকারি ফান্ট থেকে বানভাসি মানুষের পাশে সবসময় দাড়ানো উচিত একবার ত্রাণ দিলে তো সেই ১০ কেজি চাল দিয়ে ১মাস চলবে না, চাল দিলাম রান্না করে খেতে না পারলে তো সেটা বানভাসি মানুষের কাছে লাগলো না শুধু ত্রানে চাল নয় সাথে শুকনাখাবার চিড়া মুড়ি গুড় চিনি, আগুন জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই পানি বিশুদ্ধ করার জন্য বিশুদ্ধকরন ট্যানলেট সহ বিভিন্ন ত্রান-সহায়তা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা। জেলার বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন, সংগঠনদের এখন উচিত বানভাসি চরাঞ্চলের মানুষের পাশে দাড়ানো ইতিমধ্যেই কিছু জন সেবামুখী সংগঠন ত্রান কার্যক্রম শুরু করেছে।
এদিকে কমতে শুরু করেছে কালীগঞ্জের দুধকুমর নদের পানি কিন্তু আশঙ্কা একটা থেকেই যায় যে বন্যা পরবর্তী অবস্থা নিয়ে , বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পরে বন্যাকনলিত এলাকার বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের লক্ষন দেখা দিবে এতে বন্যাপরবর্তী পরিস্থিতি জ্বর কাশী কলেলা ডায়রিয়া এসব রোগের চাপ বেড়ে যাবে, যেহেতু চরাঞ্চলে তেমন ভালো রাস্তাঘাট নাই তাই চরবাসী বিভিন্ন সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে নঞ্চিত হয়।