লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
‘নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মার্কার লোককে এলাকায় ঢুকতে না দিতে পাহারা বসানোর আহ্বান জানিয়েছেন লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল। তিনি নৌকা মার্কার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যে ওই কথা বলেন। শ্যামল উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
এদিকে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাত থেকে তার ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও ওই ঘোষণার পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের গাড়ি ও অফিস ভাঙচুররে ঘটনাও ঘটেছে।
এর আগে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এলাকায় নৌকা মার্কার নির্বাচনী জনসভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি গড্ডিমারীর মানুষকে আজ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় পাহারা বসাতে অনুরোধ করছি। জননেতা মোতাহার হোসেনের নৌকা ছাড়া অন্যকোনো মার্কার লোক যেন এই এলাকায় ঢুকতে না পারে।’
এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামল ও তার লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আতাউর রহমান প্রধানের গণসংযোগে হামলা করে তার নির্বাচনী অফিস ও গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় শুক্রবার লালমনিরহাট-১ ( হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. এরশাদ আলী শ্যামলকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেন। গত শনিবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যাও দেন অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে তিনি এমন বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে আমরা যেখানে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে এসে ভোট দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। সেখানে শ্যামল সাহেব ভোটারদের মাঝে আতংক ছড়াচ্ছেন। তিনি নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্যে পিএস (সহকারী) হওয়ার কারণে ক্ষমতা দেখিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধিকে তোয়াক্কা করছেন না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।