প্রতিবেদক
কোম্পানীগঞ্জের একমাত্র উচ্চ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ নবনির্মিত ৪ তলা ভবন নির্মাণে ব্যাপক হারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওবায়দুল কাদেরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই কলেজের নতুন ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও ঠিকাদার যে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে তাতে ভবনটি নির্মাণে ১ কোটি টাকা ব্যয় হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্র এবং সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে ভবনে ব্যবহৃত লোহগুলো জংধরা এবং অতি পুরনো। পাথরগুলো ময়লাযুক্ত এবং নিম্নমানের। ময়লা ভর্তি সিলকনের বালু, ইটের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে রাবিশ। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জানায়, তিনি এসবের প্রতিবাদ করলে তাকে ঠিকাদারের লোকজন হুমকি ধামকি প্রদান করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও রহস্যজনক কারণে ঠিকাদারের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করছে না। অবাক করা বিষয় হলো যে, ৪তলা ভবনের ফ্লোর ভরাট করার জন্য বাহির থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও ঠিকাদার কলেজ মাঠেই বিশাল গর্ত করে সেখান থেকে মাটি নিয়ে ফ্লোর ভরাট করছে। এতে কলেজের ছাত্রীদের খেলার আর কোন মাঠ রহিল না। বিভিন্ন সূত্র মতে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারের সাথে কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার গভীর সখ্যতার কারণে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ নতুন ভবন নির্মাণে অনিয়মের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কোম্পানীগঞ্জসহ নোয়াখালীতে ব্যাপকহারে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও ঠিকাদারদের লুটপাটের কারণে সে অর্থের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। বরাদ্দকৃত অর্থের এক তৃতীয়াংশ অর্থও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়কের নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের গার্ডার ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। সিরাজপুর ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নির্মাণাধীন সড়কে ইটের পরিবর্তে পোড়া লাল মাটি ব্যবহারের সংবাদ নোয়াখালী প্রতিদিনসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলেও ঠিকাদারের টিকনিও স্পর্শ করতে পারেনি প্রশাসন। বরঞ্চ দ্বিগুন উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সেই ঠিকাদার দ্রুত পোড়া লাল মাটি ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ শেষ করে যাচ্ছেন। যেখানে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা মজবুত ভিত্তি সম্পন্ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদেরকে সহযোগিতা হিসেবে সাথে নিয়ে সেখানে ওবায়দুল কাদেরের উপজেলাতেই নড়বড়ে ইমারত কিংবা কম ক্ষমতাসম্পন্ন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে প্রশাসন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিসহ জনগণের সামনে প্রকাশ্যে। এদের (ঠিকাদার) ক্ষমতার ভীত এতই শক্ত যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের উপজেলায় অত্যন্ত নিম্নমানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার সাহস পাচ্ছে। উপজেলাবাসী এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এসব মুনাফালোভী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *