বিশেষ প্রতিনিধি:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কচাকাটা সাব-জোনাল অফিসের (এজিএম) শামসুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি,ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরন করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এজিএম শামসুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্য দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে অসুস্থ হয়ে পরে থাকায় মোট ১১ হাজার ৮৮৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পরে। বকেয়া বিলের কারনে ভুক্তভোগীর মিটার টি খুলে নিয়ে আসেন কচাকাটা সাব জোনাল অফিসের এ জি এম শামসুল আলম। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীকে বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য নোটিশ করা হলে গত অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখে হিসাব নম্বর- ৯১০-৭৫২৫ তে বকেয়া বিল ১১,৮৮৭ টাকা জমার মাধ্যমে পরিশোধ করেন। বকেয়া বিল পরিশোধের পর নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এজিএম) সামছুল আলম নতুন সংযোগ দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীর কাছে ৪২ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। ঘুষের টাকা না দেওয়ায় নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে তালবাহানা করে আসছে। দীর্ঘদিন অফিসে ঘুরাঘুরি করে বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে (এজিএম) শামসুল আলমের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বীর মুক্তিযুদ্ধার ছেলে আল আমিন। উল্লেখ্য উক্ত সাব জোনাল অফিসের আওতায় কিছু সংখ্যক বিদ্যুৎ অফিসের দালালরা গ্রাহককে সেচ দেয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ায় প্রায় দুমাস পুর্বে দালালের বিরুদ্ধে কচাকাটা ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ লিখিত অভিযোগ দিতে গেলেও উক্ত এজিএম শামনুল আলম তা গ্রহন করেন নাই। পরে ডাকঘরের মাধ্যমে তাকে সেই অভিযোগ দেয়া হয়।
এবিষয়ে কচাকাটা সাব জোনাল অফিসের (এজিএম) শামসুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গ্রাহক নিজে নিজেই সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় অফিস হতে জরিমানার পরিমান উল্লেখ না করে তাকে জরিমানার একটি নোটিশ করা হয়েছে। গ্রাহক টাকা দিলে রিসিভের মাধ্যমে দিবে। আমি তার কাছে ঘুষ চাইলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (ডিজিএম) রয়েছে তাকে জানাবে তাকে না জানিয়ে সে আমাকে বিপদে ফেলতে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে আমি তার কাছে ঘুষ চেয়েছি।