কচাকাটা (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কচাকাটায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে কচাকাটা থানায় একটি মামলা দ্বায়ের হয়েছে। ভূক্তভোগি ওই শিক্ষার্থী থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মামলা ও ভুক্তভোগির পরিবার জানায়, কচাকাটা ইউনিয়নের বড় ছড়ারপাড় গ্রামের মেয়ে কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনির শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে নাজমুল ইসলাম (১৮)। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে নাজমুল।
গত রবিবার সকালে নাজমুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভনে তাকে বাড়ী থেকে ভাগিয়ে নিয়ে রংপুরে গিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ীতে উঠে। সেখানে তারা রাত্রি যাপন এবং তাকে ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে এলাকাবাসীর চাপে ছেলের বাবা আব্দুল মতিন সোমবার ভোরে রংপুরে ওই আত্মীয়ের বাড়ী থেকে ছেলে এবং মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ির দিকে রওনা দেন। মেয়ের পরিবারের লোকজন জানতে পেয়ে তারাও বাড়ী থেকে রওনা দেন। পথে কেদার ইউনিয়নের পুটিমারীতে সকাল ১০ টায় তাদের দুই পক্ষের সাক্ষাত হয়। সেখানে ছেলের বাবা আব্দুল মতিন ছ্যাংছাঙ্গির পাড় এলাকার ফজলে মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩২) এর সহযোগিতায় মেয়ের ফুপা নুরনবী মিয়া (৫০, ভগ্নিপতি শাহাদৎ হোসেন (৩৫) কে মারপিট করে মেয়েকে ফেলে রেখে ছেলেকে নিয়ে সটকে পড়েন।
পরে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত নাজমুলসহ তাকে সহযোগিতা করায় তার বাবা আব্দুল মতিন ও রুবেল মিয়াকে আসামী করে কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
কচাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল বলেন, কম বয়সী মেয়েকে ভুলিয়ে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যায় নাজমুল। উভয় পরিবার বিষয়টি সুরাহা করার উদ্দেশে বাড়িতে আসার সময় মাঝপথে ছেলেকে নিয়ে সটকে পরে ছেলের বাবা। এ বিষয়ে মেয়ের পরিবার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
কচাকাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম মামলার সত্যত্যা নিশ্চিত করেছেন।

 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন