কবিঃ রফিকুল হায়দার

নিয়তিকে মাপতে বিবেক যখন ক্লান্তি মেখে ছুটে চলে
সকল সূত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিথ্যের বেশ্যাতি মেখে
তখন ও মনের ভাগাড়ে ভীড় জমায় কালচে আলোক রশ্মি,
নাঙ্গা দেহে অস্ত্র হাতে ভীমরথি মালা গাঁথে ঘরের কোণায়
কুনো ব্যাঙ তখনো শান দেয় নোলতা বুকে লড়াই করতে
সিক্ত সুখের পরশ বুলিয়ে দেয় মমতা মাখানো হিদে
দেহের প্রাচীর বেয়ে রক্ত ঝরে নাঙ্গা ভালোবাসার আশে
ধীরে ধীরে কুমারী মন চিতাকে জড়ায় নব যৌবনা বেশে
উথলে উঠা প্রেম কাহিনীর স্রোত জড়িয়ে ধরে তাজমহল
প্রেম পাগলীর ছেঁড়া থলে তখন ভরে ওঠে কি এক চুমুর সুখে
মন্থর গতিতে পৃথিবীও পা চালায় নগ্ন কুমারীর ঢিবির পানে
তখনও মহাসাগরে আনন্দের জোয়ার আকাশী হয়ে ওঠে
আর পড়ার চেয়ে পড়াতে ব্যস্ত হয়ে উঠেন গুরু মহাশয়
কোন অংশটুকু পড়ে কতটুকু পড়াবেন এটাই হয় প্রশ্নবোধক
শেষের পংক্তিমালা রাহু গ্রাসের প্রেমে মথিত করে পৃথিবী
আহা! মায়ের বুকে কন্যার আত্নাহুতি সে এক করুণ দৃশ্য।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *