ইশরাত জাহান চৌধুরী, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নস্থিত রামচন্দ্রপুর গ্রামের সড়কে মসজিদের মালামাল পরিবহনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২২ জন আহত ও সাজু মিয়া নামে ১জন নিহত হয়েছেন। এ ঘনায় পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
কমলগঞ্জ থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়- গত ৩০ জুলাই রবিবার গ্রামের সড়কে মসজিদের মালামাল বহনকারী গাড়িকে একটি পক্ষ বাধা প্রদান করেন। এ ঘটনার জের ধরে দিন দুপুরে মৃত: হানিফ উল্যাহর গোষ্ঠীর দেওয়ান আলী ও রহমত আলীর সাথে প্রতিপক্ষ সাজিদ আলী ও আইয়ুব আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে, উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও তীর-ধনুক সজ্জিত হয়ে বিকাল ৩টার দিকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দেওয়ান আলী পক্ষের আব্দুল মিয়া (৪০), মছকন আলী (৩০), হোসেন আলী (২৬), মন্তাজ মিয়া (৬০), সোহাগ আলী (২৫), রুবি বেগম (২৮), জয়নব বিবি (৫০), দিলারা বেগম (৪৫), ফাতেমা বেগম (৪০), সাফিয়া বেগম (৩২) ও নুরুন বেগম (৪০) এবং সাজিদ আলী পক্ষের আব্দুর রহিম (৭৫) সুমিনা বেগম (২৭) কুলসুম বিবি (৩০) তৈয়ব মিয়া (৩৭) আব্দুল হেকিম (৬০) ও সাজু মিয়া (২০) আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে সাজিদ আলী পক্ষের সাহেদ (৩২), শাহাজান (৩০) জালাল (৩২) আশরাফ (৩০), কয়েদ ভানু (৫০) ও সাজু মিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হলে রাত ১১টার দিকে সাজু মিয়া মারা যান। অন্যান্যরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীর্ন রয়েছেন। এদের মধ্যে সাহেদ মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় আজ ৩১ জুলাই সকালে দেওয়ান আলী পক্ষের ৪ জনকে আটক করেছে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বদরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত রামচন্দ্রপুর এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। অনেক নারী পুরুষ এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন।