হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মাসুদ পারভেজ (৩৪) নামের এক দুবাই প্রবাসী যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী ধর্মপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত মাসুদ পারভেজ ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মৃত: আবু বক্করের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যায়নি।
সোমবার সকালে নিজ বাড়ীর উঠানের আম গাছে মায়ের শাড়ী গলায় পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে বাড়ীর কাজের লোকজন এসে মাসুদকে ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঠানের আমগাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে তার মা স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ীর আত্নীয় স্বজন বাড়ীতে চলে আসে। এদিকে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রবাসী যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।
নববধূ তন্নী বেগম (২৮) স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে নববধূ তন্নী বেগম বলেন, কোন ক্রমেই আমার স্বামী আত্মহত্যা করেনি। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। এখনো আমার হাতে মেহেদীর রং জ্বলজ্বল করছে। মেহেদীর রং না শুকাতে আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। এভাবে বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন এই নববধূ।
বিষয়টি নিয়ে কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিকসহ স্থানীয়রা জানান, দুবাই প্রবাসী মাসুদ ২৭ দিন আগে বিয়ে করার জন্য বাড়ীতে আসেন এবং ৯ দিন আগে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের খলিলগঞ্জ এলাকায় বিয়ে করেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে তার বাড়ীতে বিয়ের আমেজ চলছিল। গতকাল রবিবার তার মা মনোয়ারা বেগম হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে মাসুদ চিকিৎসার জন্য তার মাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে যান। নববিবাহিতা স্ত্রীও তাদের সাথে কুড়িগ্রাম বাপের বাড়ী যান। ডাক্তার দেখানোর পর মাকে ছোট বোনের বাড়ীতে এবং স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ীতে রেখে বাড়ীতে ফেরেন মাসুদ পারভেজ। রাতে তিনি একাই বাড়ীতে ছিলেন।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে