কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় গভীর রাতে জানালার গ্রীল কেটে বাড়ীতে ঢুকে সকলের হাত-বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় বাড়ী ওয়ালার ছেলেকে মারধোর ও শ্বাসরোধে হত্যা পর টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে স্বশস্ত্র ডাকাত দল। এ দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও যুবককে হত্যার ঘটনায় ওই পরিবারসহ ও এলাকাবাসীর মধ্যে এক দিকে শোক অন্য দিকে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

জানাযায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের সুপারী ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের বাড়ীতে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আলেফ উদ্দিন (৩৫)।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা  পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও ফুলবাড়ী থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেনসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। গুরুত্বসহ তদন্ত করছেন বলে জানান ওসি সানোয়ার হোসেন।

পুলিশ ও বাড়ীর মালিক শফি উদ্দিন জানায়, আনুমানিক রাত দুইটার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের মুখোশ পড়া স্বশস্ত্র ডাকাত রান্না ঘরের জানালার গ্রীল কেটে বাড়ীতে প্রবেশ করে। বাড়ীতে ঢুকেই তারা তাকে সহ তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে আলেফ উদ্দিন, আনিছুর রহমান এবং ছেলের বউ সোমাইয়া বেগমসহ সকলের হাত পা মুখ বেঁধে মারধোর করতে করতে টাকা ও স্বর্ণালংকার কোথায় আছে দেখিয়ে দিতে বলে। এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ারে থাকা রাখা ১০/১২ হাজার টাকা, পাঁচ-ছয় ভরি স্বর্ণালংকার এবং মহিলাদের শরীরে থাকা স্বর্নালংকার আরও দুই- তিন ভরি স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাড়ী ওয়ালার ছেলে আলেফ উদ্দিন ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় তাকে বেদম মারপিট করে মুখে কাপড় গুজে দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। 

শফি উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়ার পরও আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে মারধোর করে নাক মুখ গলা চেপে ধরে হত্যা করে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন জানান, এসপি মহোদয়সহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতির ঘটনায় নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর পর রাত ৯ ঘটিকায় দাফন করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *