কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের ছয় বছরের শিশু মারুফা জাহান মাইশার আঙুলের পরিবর্তে পেটে অস্ত্রপাচারের সময় মুত্যুর ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন পালনের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রামের প্যেও মেয়র কাজিউল ইসলাম, পাবিলিক প্রসিকিউিটর এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন,  জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক, সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু ও মাইসার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে একই দাবীতে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
কুড়িগ্রাম সদরের ভেলাকোপা ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছয় বছরের মেয়ে মাইশার ডান হাতের আঙুল সার্জারী করতে গেলে ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়দানকারী ডা. মো. আহসান হাবীব গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে হাতের সার্জারী করান। এর দেড় ঘন্টা পর তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার কথা বলে পাশের গেøাবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেয়ার পর জানানো হয় মাইশার মৃত্যুর খবর।
কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই ডা. আহসান হাবিব ও ক্লিনিকের লোকজন এ্যাম্বুলেন্স ডেকে জোর করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়িতে লাশের গোসল করানোর সময় দেখা যায় শিশুটির তলপেট অপারেশ করা। সেখানে ২০টি সেলাই দেয়া হয়েছে। রাতে সদর থানা পুলিশকে জানিয়ে শিশুটিকে বাড়ির আঙিনায় দাফন করে স্বজনরা।
গত ৪ ডিসেম্বর (রোববার) সংশ্লিষ্ট আলম মেমোরিয়াল হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ৫ ডিসেম্বর সকালে মাইশার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন ঢাকার রুপনগর থানায় ডা. আহসান হাবীবসহ, তার অপারেশন করা ডা. শরিফুল ইসলাম, এ্যানেস্থেশিয়াকারী ডা. রনিসহ আলমসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।  
এ ঘটনার পর থেকে কুড়িগ্রাম ও উলিপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *