শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর বালারহাট ও খলিসাকোটাল,ভুরুঙ্গামারীর শালঝোড়,দিয়াডাঙ্গা বাঘভান্ডার,নাগেশ্বরীর রামখানা দিঘীরপাড় সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে মজা সুপারী ও পাঠা ছাগল অপর দিকে ভারত থেকে আসছে মদ, গাঁজা ও ফেন্সিডিল। উপজেলা তিনটির ১০৪ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে চোরাকারবারীরা নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে।
এ কারনে জেলার হাটগুলোতে মজা সুপারী ও পাঠা ছাগল বেশি দরে বেচা-কেনা হচ্ছে। প্রতিটি পাঠা ছাগল বাজার দরের চেয়ে ৪/৫ শ’ টাকা বেশি ও মজা সুপারী ২০গন্ডা বা ১ প্যোন ২২০টাকা দরে বেচা-কেনা হচ্ছে। এছাড়া দিঘীরপাড়,ঘনআমবাড়ী ভ্রমরের কুটি” সীমান্তে সকাল থেকে সন্ধ্যা পযন্ত মদ ও গাজাঁ ওজুয়ার আসর চলছে। কয়েকজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী প্রকাশ্যে মদ,গাঁজা বিক্রি করছে। নাখারগঞ্জ জামে মসজিদের ঈমাম আলহাজ্ব আঃ কাদের ও নাখারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিছুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মদ ও গাজাঁ অনেক পরিবারকে সর্বশান্ত করে ফেলেছে। অনেক স্কুল কলেজের ছাত্ররা অবাধে নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী মদ গাজাঁ আমদানী বন্ধের নাগেশ্বরী থানার ওসিকে লিখিতবাবে জানালেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান। পশ্চিম রামখানা দিঘীর পাড় নাখরাজ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভোরে ও সন্ধ্যার সময় ভারতীয় দামী মদ,গাঁজা,ফেন্সিডিল, যৌন উত্তেজক বড়ি অবাধে আসছে। আর পাচার করা হচ্ছে স্থানীয় জাতের পাঠা ছাগল ও মজা সুপারী। দিঘীর পাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হায়দার আলী জানান প্রতিদিন বিকেল হলেই কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী,ভুরুঙ্গামারী থেকে শতাধিক মটর সাইকেল ও মাইক্রোবাস যোগে নেশাখোর ও চোরাকারবারীরা দিঘীরপাড় পয়েন্টে জড়ো হয়ে মাদক কিনে নিরাপদে চলে যায়। এলাকাবাসী জানান, নাখরাজ গ্রামের কয়েকজন ও খোয়ালটারি গ্রামের রফিকুল ও সফিকুল বেপরোয়াভাবে মাদকের ব্যবসা করছে। নাগেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আল-আমীন বলেন,এলাকায় সস্তা মাদক পেয়ে অনেক ছাত্র মাদকাসক্ত হয়ে ধ্বংসের চুড়ান্ত সীমায় চলে যাচ্ছে। রামখানা দিঘীরপাড় এলাকার চান্দের হাট বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েক সুবেদার জানান, ‘সীমান্তে মেইন পিলার নং ৯৪৮ হতে ৯৪৯ এর ভিতরে নাখরাজ পাড়া এলাকাটি মাদক পাচারের মুল পয়েন্ট। ওই পয়েন্ট দিয়ে পাঠা ছাগল ও মজাসুপারী পাচার হয় বলে শুনেছি তবে ধরতে পারিনি’।
যোগাযোগ করা হলে নাগেশ্বরী থানার ওসি আবজালুল হক বলেন, সীমান্তে মাদক আসা ও পাঠা ছাগল ও মজাসুপারী পাচার হওয়া বিষয়টি আমি জানি না। ফুলবাড়ী থানার ওসি জানান,সীমান্তে বিজিবি দেখেন তাদেরকে বলুন। ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি বলেন,এখন জানলাম বিষয়টি খতিয়ে দেখব।