মনজুরুল ইসলাম,
সারা বাংলাদেশে বন্যপ্রানী শিকার ও হত্যা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারী দায়িত্ব পালনে বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে প্রতিটি বিভাগীয় সরকারী কর্মকর্তা। যারা সরকারী রাজস্ব থেকে বেতন ভোগ করে সরকারী দায়িত্ব তামিল করে । সম্প্রতি গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) দিনাজপুর থেকে একদল সাওতাল উপজাতি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের নন্দীরকুটি নামক গ্রামের ভুট্টা,গম ক্ষেতে নিধন যজ্ঞ চালিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক বন্যপ্রানী হত্যা করে। এ সময় তীর ধনুক,বল্লম,লাঠিসোঠা নিয়ে ভুট্টা ও গম ক্ষেতে লুকিয়ে থাকা বন্যপ্রাণী শিকার দেখতে ওই এলাকায় শতশত নারী পুরুষ শিশুরা ভীড় জমায়। আবার অনেকে সাওতালদের এমন বন্যপ্রাণী শিকার ও হত্যা বন্ধ করতে স্থানীয় বনবিভাগকে জানালেও তারা কেউ বন্যপ্রানী শিকার বন্ধকরতে এগিয়ে আসেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী বাবুল হোসেন, মজিদুল হক, বাদশা মিয়া জানান, সাঁওতালরা ১২/১৩ জন মিলে একটি ক্ষেত চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এরপর ২/৩ জন ওই ক্ষেতের ভিতর ঢুকে দৈঘ্য- প্রস্থে যাওয়া আসা করে। এতে ক্ষেতের ভিতর লুকিয়ে থাকা বন্য প্রাণিরা প্রাণ ভয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। তখন সাঁওতালরা তীর বা বল্লম ছুঁড়ে প্রাণিদের শিকার করে। তারা আরও জানান, শেয়াল,বেজি, বনবিড়াল ও বাগডাসা মিলে আজ সারা দিনে তারা পঞ্চাশটিরও বেশি বন্যপ্রাণি শিকার করেছে। সরকারীভাবে বন্যপ্রাণি শিকার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হলেও প্রকাশ্য দিবালোকে এতগুলো প্রাণি শিকার করলেও ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্তরা শিকারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে বন্যপ্রাণি শিকার ও হত্যা করা হলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা কঠিন হয়ে পরবে এছাড়া অনেক প্রজাতির বন্যপ্রাণি বিলুপ্ত হবে বলে পরিবেশবিদরা বন্যপ্রাণি শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে জরুরী বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধ করার দাবী জানায়। তবে
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, বন্যপ্রাণি শিকার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।