স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ইটের লাল গুড়া ও কেমিক্যাল দিয়ে তৈরী হচ্ছে দানাদার কীটনাশক। নি¤œমানের ধান বীজ ও সার দেশের নামিদামী কোম্পানীর প্যাকেটে ঢুকিয়ে বাজারজাত করে কৃষকদের প্রতারিত করা হচ্ছে। গত রোববার এক ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত নকল কীটনাশক, ধান বীজ ও সার তৈরীর সরঞ্জাম ও ইটের গুড়া ও কেমিক্যাল উদ্ধার করেছে। দীর্ঘদিন থেকে ওই ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর ধান বীজ, সার ও দানাদার কীটনাশক (প্যাকেট) ব্যাগ সংগ্রহ করে নিজের তৈরী ভেজাল বীজ, সার ও কীটনাশক ঢুকিয়ে বাজারজাত করে আসছে। কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী সদরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নাম সুমন বীজ ভান্ডার। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোঃ আবদুল্লাহ। সে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের চর উত্তর তিলাই গ্রামের আলাল উদ্দিনের পুত্র। প্রায় ৭ বছর যাবৎ ভূরুঙ্গামারী বাজারে এই ভেজাল কৃষি পণ্যের ব্যবসা চালিয়ে স্থানীয় কৃষকদের প্রতারিত করে আসছে। গত রোববার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে ব্রি ধান ২৯, ব্রি ধান ২৮, সুফলা ভারত সীড সুফলা ২৮, হীরা-২, এসিআই-২, হীরা-১, তেজ, ইস্পাহানী-১, ব্যাবিলন-২, ব্রিধান-৪৯, সম্পদ, তিন পাতা সুপার, দানাদার কীট নাশক বাসুডিন, প্রোকেম, রেকাডিন, ফুরাডান, তাজা, ভিট টাকো, যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানীর ইউরিয়া সারের খালি বস্তা, ধান বীজের খালি প্যাকেট, প্যাকেট আটকানোর মেশিন ও দানাদার কীট নাশক তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ইটের গুড়া, কেমিক্যাল ও বিপুল পরিমান মেয়াদ উত্তীর্ণ তরল কীটনাশক উদ্ধার করে।
জানা গেছে ঢাকা থেকে এসকল খালি প্যাকেট ও বস্তা এনে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত নি¤œ মানের ধান বীজ, নিজের তৈরী দানাদার কীটনাশক ও নি¤œমানের সার ঢুকিয়ে বাজারজাত করে আসছে ওই ব্যবসায়ী।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ওই দোকান থেকে একজন ক্রেতা ভিট টাকো কিনে তার সন্দেহ হলে কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উল্লেখিত নকল ও ভেজাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয় । পরে ওই ব্যবসায়ীর ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন