স্টাফ রিপোর্টাাারঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষ। পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ। দশ জনের অধিক গুরুতর আহত। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শ্রমিকরা জানান, সন্ধ্যার আগ মূর্হুতে ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ জয়মনির হাট হতে পিকাপ ভ্যানে আসমী নিয়ে থানায় আসার পথে বাস ষ্ট্যান্ডের ঝর্ণামার্কেটের সামনে জ্যামে পড়ে। এসময় পুলিশ সাইড চাইলে জ্যামে আটকা পড়ারা অপরাগতা প্রকাশ করে।এসময় পুলিশের এ এস আই আমিনুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে ভ্যানের সামনে মটরসাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে থাকা সদর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আরিফ আহম্মেদকে মারপিট শুরু করে। পরে উপস্থিত জনতা বাঁধাদেয় এবং পুলিশের উপর চড়াও হয়। এসময় শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান এগিয়ে এসে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে তাকেও কিল ঘুষি দেয় পুলিশ। পরে পুলিশ জনতা, শ্রমিকের সংঘর্ষ বাধে। এদিকে পুলিশ সদস্যের আক্রান্ত হওয়ার খরব থানায় পৌছলে ১৫/১৬ জনের পুলিশ টিম এসে এলোপাথারী লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে শত শত পথচারী, বাসের যাত্রীসহ শ্রমিক লাঠিচার্জের স্বীকার হয়। এদিকে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে ১০জনের অধিক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ৯ জন রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা এ,এস,এম সায়েম । এদিকে ঘটনার পরপরই শ্রমিকরা ঢাকাসহ স্থানীয় রুটের সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে রাত ৮ টার দিকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চোধুরী শোভনের মধ্যস্থায় অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা। সহকারী পুলিশ সুপার (ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেল) শওকত আলী জানান, ভুলবোঝাবুঝির কারনে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো। উভর পক্ষের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ ও শ্রমিকের মাঝে কেউ যদি দোষী হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন